বিএনপির যুগ্মমহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিএনপি কখনোই দেশ ও জাতির গর্ব সেনাবাহিনীকে বিতর্কে জড়াতে চায় না। অগণতান্ত্রিক কোনো পন্থাকেও বিএনপি কখনো স্বীকৃতি দেয়নি। উত্তরপাড়ার ক্ষমতা দখলের আশঙ্কা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সম্মানহানি করেছেন।
আজ সোমবার দলের পক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
এরআগে রবিবার এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, 'উত্তরপাড়ার দিকে তাকিয়ে থেকে লাভ নেই। খালেদা জিয়া মনে করছেন, সেখান থেকে কেউ এসে তাকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবেন'।
প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা বলতে চাই, বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, বহুদলীয় গণতনে্ত্রর পুনঃপ্রতিষ্ঠাকারী দেশের একটি নিয়মতান্ত্রিক সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল। অগণতান্ত্রিক কোনো পন্থাকে বিএনপি কখনো স্বীকৃতি দেয়নি। বরং আওয়ামী লীগের স্বৈরতান্ত্রিক, একনায়কতান্ত্রিক ও নৈরাজ্যকর মানসিকতা ও কর্মকাণ্ডের কারণেই অগণতান্ত্রিক শক্তির উদয় হয়েছে প্রতিবার। দেশ ও জাতির গর্ব সেনাবাহিনী তাদের সুনাম অক্ষুণ্ন রেখে নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছে। রাষ্ট্রের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী জাতীয় সেনাবাহিনীকে আমরা কখনোই বিতর্কে জড়াতে চাই না।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগ বারবার অগণতান্ত্রিক শক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গতকাল উত্তরপাড়ার ক্ষমতা দখলের আশঙ্কা প্রকাশ করে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সম্মানহানি করেছেন।
প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে দখলকৃত অবৈধ ক্ষমতা হারানোর শঙ্কা ও আসন্ন নির্মম পরিণতির ভাবনার কথাই তাতে প্রকাশিত হয়েছে স্বাভাবিকভাবে। এ দেশের জনগণ জানে, আওয়ামী লীগের পক্ষে তিনি ১৯৮২ সালে সামরিক সরকারকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। ১৯৮৬ সালে এরশাদের স্বৈরশাসনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সপ্তম সংশোধনীর মাধ্যমে এরশাদের স্বৈরশাসনকে বেধতা দেন।
তিনিই ২০০৭ সালের মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের এক-এগারোর মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকে স্বাগত জানিয়ে বলেছিলেন, তাদের লগি-বৈঠার আন্দোলনের ফসল ছিল, সেই সরকার এবং তাদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পুরোপুরি বৈধতা প্রদান করেন।
বিবৃতিতে তিনি বন্দুকযুদ্ধের নামে গুলি করে পুলিশের মানুষ হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, রবিবার মিরপুর থানা পুলিশ মিরপুর ১০ নং ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সভাপতিকে থানায় ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে ক্রসফায়ারের গল্প সাজিয়েছে। আরো ৩ জনকে একইভাবে গুলি করে হত্যা করার পর গণপিটুনির কাহিনী সাজিয়েছে মিরপুর থানা পুলিশ। অথচ রবিবার করানীগঞ্জে র্যাবের হাতে ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুর হোসেন পেট্রোল বোমাসহ ধরা পড়লেও সে ব্যাপারে কোনো বক্তব্য নেই।
সালাহউদ্দিন পরিষ্কার ভাষায় বলেন, প্রত্যেকটি হত্যাকান্ডের হিসাব রাখা হচ্ছে এবং সময়ের পরিবর্তন হলে প্রত্যেকটি হত্যাকান্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের উপযুক্ত আদালতে বিচারের আওতায় আনা হবে।