সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের জন্য মাহমুদুর রহমান মান্নাকে দায়ী করে ডাকসু সংগ্রহশালায় ভিপিদের তালিকা থেকে তার নাম মুছে ফেলেছে ছাত্রলীগের একদল কর্মী। সেইসঙ্গে সংগ্রহশালায় থাকা মান্নার ছবিও নামিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে তারা। আজ দুপুরে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জয়দেব নন্দীর নেতৃত্বে দুপুরে ডাকসু ভবনে ঢুকে এ কাজ করে ছাত্রলীগ কর্মীরা।
বর্তমানে নিখোঁজ মান্না ১৯৭৯ ও ১৯৮০ সালে দুই মেয়াদে ডাকসুর ভিপি ছিলেন। বামপন্থি ছাত্র সংগঠনের এই নেতা আওয়ামী লীগ হয়ে এখন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক। বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা ও অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তির সঙ্গে মান্নার কথোপকথনের দুটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হওয়ার ঘটনায় দেশজুড়ে আলোচনার মধ্যে ছাত্রলীগের এই তৎপরতা দেখা গেল।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জয়দেব নন্দী বলেন, “তিনি সরকারকে উৎখাত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই-তিনটি লাশ ফেলে দেওয়ার কথা বলেন, তাই আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়ে এই ষড়যন্ত্র মেনে নিতে পারি না।' “আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোথাও মান্নার নাম থাকতে দেব না।”
অডিও ক্লিপে মান্নাকে চলমান পরিস্থিতিতে সেনা হস্তক্ষেপের উদ্যোগে আগ্রহ প্রকাশ করতে শোনা যায়। পাশাপাশি বিএনপি জোটের আন্দোলন জোরদারে বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলার কথাও বলতে শোনা যায় তাকে। এর ভিত্তিতে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মান্নাকে গ্রেপ্তারের দাবিও উঠেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাদের মুখ থেকে।
উল্লেখ্য, মান্নাকে সোমবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয় দিয়ে তার ভাইয়ের বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তার পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে বনানী থানায় আজ একটি জিডিও করা হয়েছে। তবে ডিবি পুলিশ মান্নাকে আটকের খবর নাকচ করে দিয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫/শরীফ