আসামী ধরতে গিয়ে দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে পুলিশ-গ্রামবাসীর সংঘর্ষে রেজওয়ান (২৫) নামে যুবদল কর্মী নিহত হয়েছে। এ সময় পুলিশসহ আহত হয়েছেন ৬জন। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়।
আহতরা হলেন, গুলিতে নিহত রেজওয়ানের ছোট ভাই মোঃ হায়দার আলী (১৮) ও মা মোছাঃ আম্বিয়া বেগম গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
অপরদিকে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন এএসআই মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান (৩৬), পুলিশ কনেষ্টবল মোঃ হাবিবুল্লাহ (৩৪), মোঃ রবিউল ইসলাম (৩৫), মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (২৮)।
আজ শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে চিরিরবন্দরের পুনটি ইউপির তুলসিপুর গ্রামে এ সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।
নিহত রেজওয়ান চিরিরবন্দর উপজেলার পুনট্টি ইউনিয়নের তুলসিপুর গ্রামের ও ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোঃ হবিবর রহমানের পুত্র এবং ইউনিয়ন যুবদল কর্মী বলে এলাকাবাসী জানায়।
পুনট্টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আতিয়ার রহমান জানান, আজ বিকেল ৩টার দিকে নাশকতা বিরোধী অভিযান চালানোর জন্য তুলসিপুর গ্রামে যায়। এসময় পূর্বের মামলার আসামী মোঃ হবিবর রহমানকে আটক করলে পরিবারের লোকজনের সাথে ধস্তাধস্তি হয়। এসময় গ্রামবাসী এসে ঘিরে ফেলে পুলিশের উপর হামলা চালায়। এ সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি চালালে হবিবর রহমানের পুত্র মোঃ রেজওয়ান ঘটনাস্থলে নিহত হন। এবং হবিবরের আরেক পুত্র হায়দার ও স্ত্রী আম্বিয়া আহত হয়।
চিরিরবন্দর থানার ওসি আনিসুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযান চলাকালে আমাদের ৪জন পুলিশকে কুপিয়ে জখম করেছে তারা। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ৪ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে। একজন নিহত হয়েছে।