গ্যাস সংকটের কারণে নতুন করে বাসাবাড়ি ও শিল্পকারখানায় গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। তবে সরকার গ্যাস সংকট মোকাবেলায় বহুমুখী পরিকল্পনা নিয়েছে বলেও তিনি জানান। এ সব পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে আমদানি করা কয়লা ও এলএনজি গ্যাসনির্ভর বড় বড় বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট এবং নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন।
শনিবার দুপুরে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘পাওয়ার সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট : রিলায়েবল সাপ্লাই টু কাস্টমার পাসপেক্টিভ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা চেম্বার মিলনায়তনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
তৌফিক-ই-ইলাহী আরও বলেন, গ্যাস সংকটের কারণে শিল্পকারখানায় নতুন করে কোনো গিজারের সংযোগ দেওয়া হবে না। তবে যারা ইতোমধ্যে অনুমোদন পেয়েছেন তাদের সংযোগ দেওয়া হবে। গ্যাসের চাহিদা বিদ্যুৎ দিয়ে পূরণ করা হবে। ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমদানি করা এলএনজি, কয়লা ও নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য তিনটি চুক্তি হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ১২৫০ মেগাওয়াটের দু’টি নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের চুক্তি হয়েছে। রামপালে ১২৩০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য ভারতের সাথে এবং মালয়েশিয়া ও চীনের সাথে আরও বড় দু’টি কয়লানির্ভর বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট স্থাপনের চুক্তি হয়েছে। তিনি ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের ২০২০ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরামর্শ দেন।
এছাড়া শিল্পকারখানায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সরকারের সাথে আলোচনা এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের পরামর্শ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ডিসিসিআই সভাপতি হোসেন খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান এ এস এম আলমগীর করিব, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. মিজানুর রহমান, পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার অরুণ সাহা প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/২৮, ফেব্রুয়ারি, ২০১৫/মাহবুব