আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভায় রদবদল হবে আজ। আর সেজন্য মন্ত্রীদের আনা নেওয়ার জন্য ইতোমধ্যেই আজ মঙ্গলবার সকালে পাঁচটি কালো রঙের প্রোটন গাড়ি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সামনে রাখা হয়েছে। ঝকঝকে প্রতিটি গাড়ির সামনেই সাদা কভারে ঢাকা পতাকার দণ্ড দেখা গেছে। মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরাও একই ধরনের গাড়ি ব্যবহার করেন। প্রতিটি গাড়ির সামনে ক্রমিক নম্বর দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা চালকদের নাম ও ফোন নম্বর সংগ্রহ করেছেন। তবে কাকে কোথায় যেতে হবে সে নির্দেশনা এখনো দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।
সকাল থেকেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে দেখা গেছে শপথ প্রস্তুতি অনুষ্ঠানের ব্যস্ততা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন ভূইঞা ও মন্ত্রিসভা শাখার কর্মচারীরা অফিসে গেছেন সকাল সাড়ে ৮টায়। তবে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের কখন শপথ পড়াবেন সে বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনো আসেনি। মোট কতজন নতুন সদস্য মন্ত্রিসভায় যোগ দিচ্ছেন, বাদ পড়ছেন কারা- তা নিয়ে গত দুদিন ধরে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা চললেও সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কিছু স্পষ্ট করা হয়নি। সরকারি দলের সাংসদ তারানা হালিম ও সাবেক সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসি ইতোমধ্যে শপথের জন্য ডাক পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও টেলিফোন পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি এক বছর আগে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেও পূর্ণ মন্ত্রী হলে তাকে নতুন করে শপথ নিতে হবে।
বর্তমান মন্ত্রিসভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ, স্বরাষ্ট্র, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে কোন মন্ত্রী নেই। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে নতুন দায়িত্ব পাওয়া খন্দকার মোশাররফ হোসেন বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে জিতে টানা দ্বিতীয়বারের মত ক্ষমতায় আসার পর ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেয়। ওই বছর ২৬ ফেব্রুয়ারি এ এইচ মাহমুদ আলীকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং নজরুল ইসলামকে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর গত দেড় বছরে আর কোনো রদবদল আনেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হজ নিয়ে বিতর্কিত এক মন্তব্যের কারণে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী গত বছরের ১২ অক্টোবর ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে বাদ পড়েন। ওই পদ এখনও শূন্য। আর গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করা হয়। স্থানীয় সরকারের দায়িত্ব দেওয়া হয় মন্ত্রিসভারই আরেক সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে। বর্তমান মন্ত্রিসভায় ২৯ জন মন্ত্রী, মন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর একজন বিশেষ দূত ও পাঁচজন উপদেষ্টা, ১৮ জন প্রতিমন্ত্রী এবং দুজন উপমন্ত্রী রয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৪ জুলাই, ২০১৫/ রোকেয়া