প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা দেশে বস্তুনিষ্ঠ ও গঠনমূলক সাংবাদিকতার চর্চা দেখতে চাই। স্বাধীন মত প্রকাশের সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির সাংবাদিক নামধারী ব্যক্তিবর্গ সমাজে অপসাংবাদিকতার চর্চা করছে। আপনাদের পেশার স্বার্থে এসব ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে আপনাদেরই সোচ্চার হতে হবে।
আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অস্বচ্ছল সাংবাদিকদের সহায়তা ভাতা প্রদানকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী ১৭৭ জন অস্বচ্ছল, দায়িত্বপালনকালে আহত ও নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। যাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা থেকে দুই লাখ টাকার সহায়তা দেওয়া হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সাংবাদিকতার একটা এথিক্স থাকতে হবে, নিয়ম নীতি থাকতে হবে, প্রত্যেকটারই একটা গঠনমূলক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে। আমি সব সময় চাইবো মিডিয়ায় যেন এ ধরনের নিউজ না যায় যেটা চরিত্র হনন করে, দেশ বা মানুষের ক্ষতি করে।’
তথ্যভিত্তিক সাংবাদিকতা করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা মানুষকে যদি ভুল তথ্য দিয়ে তার চরিত্র হনন করা হয়, পরবর্তীতে যতই রিজয়েন্ডার দেওয়া হোক না কেন ক্ষতি যা হবার তা কিন্তু হয়ে যায়। এই ক্ষতি কিন্তু আর পূরণ হয় না। এটা কোনো সাংবাদিকতা নয়, বা সমালোচনা হিসেবেও যোগ্য সমালোচনা না। এ বিষয়গুলোর দিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে।’
সংবাদপত্র মালিকদের অষ্টম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য অষ্টম ওয়েজ বোর্ড চালু করা হয়েছে। যেসব পত্রিকা ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করেছে, তাদের বিজ্ঞাপনের হার দ্বিগুণ করা হয়েছে। যারা এখনও এটি বাস্তবায়ন করেনি, তাদের বিষয়টি সরকার নিবিড়ভাবে মনিটর করছে। ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নে যারা ব্যর্থ হবে তাদের সরকারি সুযোগ-সুবিধা সীমিত করে দেওয়া হবে।’
এ সময় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সংসদ সদস্য এ কে এম রহমত উল্ল্যাহ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সচিব সুরাইয়া বেগম, তথ্য সচিব মর্তুজা আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুলসহ সম্পাদক ও সাংবাদিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৬ জুলাই ১৫/ সালাহ উদ্দীন