সারা দেশের ১৪৮টি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। এ কারণে এসব কলেজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ২৯ জুন থেকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে, চলবে আগামী ২৬ জুলাই পর্যন্ত। গত ১ জুলাই একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হয়েছে।
আটটি সাধারণ বোর্ডের সঙ্গে মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে মোট আট হাজার ৯৩৩টি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন রয়েছে।
এবার ঢাকা বোর্ডের ১৪টি কলেজ এবং কুমিল্লা বোর্ডের ছয়টি কলেজে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি বলে বোর্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এছাড়া রাজশাহী বোর্ডের ১৫টি, যশোর বোর্ডের ১০টি, চট্টগ্রামে একটি, বরিশালে একটি, সিলেটে পাঁচটি এবং দিনাজপুর বোর্ডের ১৬টি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি।
কারিগরি বোর্ডের অধীন ৭২টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং মাসাদ্রা বোর্ডের অধীনে আটটি মাদ্রাসায়ও কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আবু বক্কর বলেন, কলেজগুলোর মান ভাল না হওয়ায় সেখানে একজন শিক্ষার্থীও ভর্তি হয়নি।
''তবে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের চেয়ে কলেজগুলোতে আসন বেশি থাকায় শিক্ষার্থীরা পছন্দের কলেজেই ভর্তি হয়েছে, এক্ষেত্রে তাদের আগ্রহ প্রাধান্য পেয়েছে,'' বলেন তিনি। আবু বক্কর বলেন, এবার অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম হাতে নেওয়ায় কোনো কলেজেই ভুয়া শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারেনি।
তবে যেসব কলেজে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান আবু বক্কর।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন, এবার একাদশ শ্রেণিতে দুই লাখের বেশি আসন ফাঁকা থাকবে। এ বছর মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় ১২ লাখ ৮২ হাজার ৬১৮ জন পাস করেছে।
বিডি-প্রতিদিন/২৩ জুলাই ২০১৫/ এস আহমেদ