জাহাজ ভাঙার কাজে নিয়ম না মানলে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা জরিমানা ও এক বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে আইন করার প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে। অনুমতি ছাড়া জাহাজ আমদানি, ইয়ার্ড নির্মাণ ও আমদানিতে মিথ্যা তথ্য দিলে বিভিন্ন মেয়াদে এ শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘বাংলাদেশ জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ আইন, ২০১৫’ এর খসড়ার এই নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, এ আইনের আওতায় ‘জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ বোর্ড’ গঠন করা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ শিল্পে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের সুরক্ষা, কাজের পরিবেশ, সামুদ্রিক পরিবেশ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মত বিষয়গুলোকে চিহ্নিত করে শিল্প মন্ত্রণালয় আইনের এই খসড়া মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করে। এর আগে শিপ ব্রেকিংয়ের বিষয়টি নৌ পরিবহন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় দেখলেও এখন সমন্বিত ব্যবস্থাপনার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এ আইনের আওতায় বিভিন্ন শাস্তির বিধান তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ বোর্ডের অনুমতি ছাড়া জাহাজ আমদানি করলে বা ভাঙলে ১০ লাখ থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। সেইসঙ্গে এক বছরের কারাদণ্ড বা উভয়দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য জাহাজ আমদানিতে মিথ্যা তথ্য দিলে ৫ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা, বা ছয় মাসের কারাদণ্ড, অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে। আর বোর্ডের অনুমতি ছাড়া ইয়ার্ড নির্মাণ করলে ১০ লাখ থেকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা, বা এক বছরের কারাদণ্ড অথবা উভয়দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
এছাড়া বোর্ডের কর্মকর্তাদের পরিদর্শনের সময় কেউ যদি ‘যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া’ সহযোগিতা না করে, সেক্ষেত্রে ৫ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা বা ছয় মাসের কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৭ জুলাই, ২০১৫/ রশিদা