জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৫-'১৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের কয়েকজন ভর্তিচ্ছুকে ভর্তি পরীক্ষার আগে নিজ রুমে বসিয়ে প্রশ্নপত্র দেখানোর অভিযোগ উঠেছে কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ কামরুল আহসানের বিরুদ্ধে। রবিবার থেকে শুরু হয়েছে এ ভর্তিযুদ্ধ। সকাল ৯টা থেকে ছয়টি সিফটে 'এ' ইউনিটের (গানিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ) পরীক্ষা শুরু হয়।
অভিযোগ উঠেছে, রবিবার গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের (এ-ইউনিট) দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে সৈয়দ কামরুল আহসানের ডিন অফিসের কক্ষে তিন জন ভর্তি পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পড়তে দেখা যায়। পরে ওই ভর্তিচ্ছুরাই তৃতীয় শিফটে পরীক্ষায় অংশ নেয়। সকাল সাড়ে দশটার দিকে ভর্তি পরীক্ষা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে জানতে কয়েকজন সাংবাদিক তার কক্ষে প্রবেশ করলে প্রশ্ন দেখানোর বিষয়টি তাদের নজরে আসে বলে সেখানে উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সাংবাদিক জানান।
এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানতে চাইলে সৈয়দ কামরুল আহসান ওই সাংবাদিককে জানান এগুলো আজকের পরীক্ষার আগের (প্রথম) শিফটের প্রশ্ন। কিন্তু পরবর্তীতে বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদকসহ আরো কয়েকজন সাংবাদিক ফোন করে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আজকের পরীক্ষার প্রশ্নের বিষয়টি অস্বীকার করে প্রশ্নগুলো বিগত (২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের) বছরের বলে জানান।
অধ্যাপক সৈয়দ কামরুল আহসান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ''এটা হয়তো সাংবাদিকরা দেখতে ভুল করেছে। ওটা আসলে আগের বছরের প্রশ্ন ছিল। আমার কয়েকজন বন্ধু তাদের ভর্তি পরীক্ষার্থীদের নিয়ে আমার কাছে এলে আমি তাদের নিয়ে রুমে বসি। এসময় তারা আমার টেবিলে থাকা বিগত বছরের প্রশ্ন বের করে দেখতে থাকে। আমি এ বছর কোন প্রশ্ন পরিচালনা কমিটির সাথে সম্পৃক্ত নই। তাই আমার প্রশ্ন পাওয়ার কোন সম্ভাবনাও নেই।''
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সদস্য অধ্যাপক আবুল হোসেন বলেন, ''তিনি এভাবে কাউকে তার রুমে বসে প্রশ্ন দেখাতে পারেন না, সেটা এ বছরের প্রশ্ন হোক কিংবা আগের বছরের প্রশ্ন। আমরা বিষয়টি সম্পর্কে ইতিমধ্যেই অবহিত হয়েছি। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।''
উল্লেখ্য, এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি আসনের বিপরীতে লড়ছেন গড়ে প্রায় ১১৪ জন। ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য এ বছর মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে মোট দুই লাখ ২৬ হাজার পাঁচশ ৭২ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। এর বিপরীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি অনুষদ ও দুইটি ইনস্টিটিউটে মোট আসন সংখ্যা রয়েছে দুই হাজার।
বিডি-প্রতিদিন/২৫ অক্টোবর ২০১৫/ এস আহমেদ