ইতালির নাগরিক তাভেল্লাকে সিজারকে এক 'বড় ভাইয়ের' নির্দেশে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেফতারের পর সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। তবে হত্যার নির্দেশদাতা 'বড় ভাইয়ের' পরিচয় প্রকাশ করেননি পুলিশ কমিশনার।
আছাদুজ্জামান জানান, সরকারকে চাপে ফেলতেই ইতালীয় নাগরিক তাবেলা সিজারকে হত্যা করা হয়েছে। তাবেলা হত্যায় জড়িত তিনজনসহ আটককৃত চারজন এ কথা স্বীকার করেছে।
তিনি বলেন, হত্যায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আটকরা হলেন- ভাগ্নে রাসেল ওরফে কালা রাসেল, চাকতি রাসেল, শুটার রুবেল ও সাখাওয়াত হোসেন শরীফ। এছাড়া তাভেল্লা হত্যায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও জব্দ করা হয়েছে। ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলামের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ডিবির একাধিক টিম রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ভাগ্নে রাসেল ও চাকতি চৌধুরী নেশাসক্ত। তারা বিভিন্ন মামলায় কয়েকবার কারাভোগ করেছে এবং এখনো তাদের নামে অনেক মামলা রয়েছে। ঠান্ডা মাথার খুনি হিসেবে রুবেলের অতীত রেকর্ড রয়েছে। তাদেরকে আলাদা আলাদা জিজ্ঞাসাবাদ করে এসব তথ্য জানা যায়।
আটকদের সম্পর্কে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) উপ-কমিশনার শেখ নাজমুল আলম জানান, চারজনের মধ্যে সরাসরি কিলিং মিশনে অংশ নিয়েছে তিনজন। অন্যজন ছিল তাদের সহযোগী।
রাজধানীর গুলশান-২ এর ৯০ নম্বর সড়কে ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় জগিং করার সময় দুবৃর্ত্তদের গুলিতে নিহত হন ইতালির নাগরিক ও নেদারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিসিওবিডির কর্মকর্তা তাভেল্লা সিজার।
বিডি-প্রতিদিন/২৬ অক্টোবর ২০১৫/ এস আহমেদ