বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থেকে ১১০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে ফেয়ারওয়ে পয়েন্টে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় ২৫ ট্রলারসহ অন্তত অর্ধশত জেলেকে অপহরণ করেছে জলদস্যুরা।
সোমবার গভীর রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত এসব ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
অপহৃত জেলারা হলেন- হারুন মিয়া, ফোরকান বাবুর্চি, স্বপন, ফোরকান, মোশারেফ, রফিক মাঝি, মোজাম্মেল মাঝি। বাকিদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওই পয়েন্টে মাছ ধরছিলেন জেলেরা। এ সময় সুন্দরবনের জলদস্যু মাস্টার বাহিনীর ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি সশস্ত্র দল জেলে বহরে হামলা চালিয়ে মাছ, রসদ সামগ্রী লুট করে।
এক পর্যায় এফবি রিয়াজ উদ্দিন, এফবি রিনা, এফবি মা-বাবার দোয়া, এফবি সিরাজুল হক, এফবি বশির, এফবি আক্তার, এফবি মাসহ ২৫টি মাছ ধরা ট্রলার অপহরণ করে সুন্দরবনের গহীনে নিয়ে যায়। এ সময় জেলেদের ১০ লাখ টাকা মূল্যের ২০ হাজার ইলিশ মাছ লুটে নেয় তারা।
তিনি আরও জানান, অপহরণের পর জলদস্যু মাস্টার বাহিনী এ সময় ট্রলার মালিকদের যোগাযোগ করার জন্য ০১৭০৯৭৪৭৪৪৯ ও ০১৭০৯৭৪৭৪৪৫ মোবাইল ফোন নম্বর দেয়।
এফবি রিয়াজ উদ্দিন ট্রলারের মালিক পনু আকন বলেন, ফিরে আসা জেলেরা জলদস্যুদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরে দ্রুত যোগাযোগ করার জন্য বলে। আমরা ট্রলার মালিক সমিতির সঙ্গে যোগাযোগ করছি।
বরগুনা জেলা ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল মান্নান মাঝি বলেন, সাগরে ট্রলার ডাকাতির খবর শুনে অপহৃতদের উদ্ধারে ট্রলার মালিকদের সঙ্গে সমন্বয় করছি।
বিডি-প্রতিদিন/২৭ অক্টোবর, ২০১৫/মাহবুব