গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে বন্দি মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীকে তার রিভিউ আবেদন খারিজের রায় পড়ে শুনিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। এখন কৃতকর্মের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কিনা- সেই সিদ্ধান্ত জানাতে মীর কাসেম সময় চেয়েছেন।
গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার-২ এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কারাগারের আসা রিভিউ আবেদন খারিজ রায়ের কপি পড়ে বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় তারা ফাঁসির আসামি মীর কাসেম আলীকে পড়ে শোনান। আদালতের রায় তিনি জেনেছেন। এখন মার্সি পিটিশন করা না করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাতে তিনি সময় চেয়েছেন।”
এর আগে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ৪৮ মিনিটে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কাশিমপুর কারাগারে রায়ের কপি পৌঁছায় বলে জানান কারাগারের জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক।
এখন রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা না চাইলে বা চাওয়ার পর আবেদন নাকচ হলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে আর কোনো আইনি বাধা থাকবে না। তখন সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেকোনো সময় ফাঁসির রায় কার্যকর করতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ।
এর আগে, মঙ্গলবার সকালে ফাঁসির রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে মীর কাসেমের রিভিউ আবেদন খারিজ করে সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। অন্য বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও মোহাম্মদ বজলুর রহমান।
বিডি-প্রতিদিন/৩১ আগস্ট, ২০১৬/মাহবুব