আগামীকাল বুধবার থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশ ধরা, মজুত ও বেচাকেনা নিষিদ্ধ। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি, জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশের সুষ্ঠু প্রজনন নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ শিকার, মজুত ও বেচাকেনা নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের পর থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে ইলিশের ব্যাপক ছড়াছড়ি লক্ষ্য করা যায়।
ইলিশ গবেষক ও বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিএফআরআই) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আনিসুর রহমান বলেন, ইলিশ মাছ সারা বছরই কম বেশি প্রজনন করলেও সবচেয়ে বেশি প্রজনন করে অক্টোবর মাসের (আশ্বিন/কার্তিক) বড় পূর্ণিমার সময়। এ সময় ৬০ শতাংশের বেশি ইলিশই পরিপক্ব ও ডিম ছাড়ার উপযোগী অবস্থায় থাকে। তাই ইলিশ মাছের অবাধ প্রবেশ ও বিচরণ নিশ্চিতকরণের জন্য পাঁচটি নির্দিষ্ট এলাকাকে অভয়াশ্রম ঘোষণা করে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ২৭টি জেলা হচ্ছে—চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, শরীয়তপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা, মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, খুলনা, কুষ্টিয়া ও রাজশাহী জেলার নদনদী। সেই সঙ্গে দেশের সমুদ্র উপকূল এবং মোহনায়ও ওই ২২ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১১ অক্টোবর, ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন