সিলেটের কুমারগাঁওয়ে নির্মম নির্যাতনে খুন হওয়া শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যার দায়ে চার আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
রাজন হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে ১০ আসামির মধ্যে কামরুল ইসলাম, ময়না চৌকিদার, তাজউদ্দিন আহমদ বাদল ও জাকির হোসেন পাভেল আহমদের ফাঁসির আদেশ হয়। তাদের সেই আদেশ বহাল রয়েছে।
বাকি নয়জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড বহাল রয়েছে। কামরুলের সহযোগী নূর মিয়ার দণ্ড যাবজ্জীবন থেকে ছয় মাস কমানো হয়েছে। কামরুলের তিন ভাই মুহিত আলম, আলী হায়দার ও শামীম আহমদকে (পলাতক) সাত বছর করে কারাদণ্ড, দুলাল আহমদ ও আয়াজ আলীর এক বছর করে কারাদণ্ড বহাল রয়েছে।
২০১৫ সালের ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অপবাদ দিয়ে ১৩ বছরের শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী তোলপাড় ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ঘটনার দেড় মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে ১৬ আগস্ট ১৩ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুরঞ্জিত তালুকদার।
২২ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়। রাজন হত্যার পর ১০ জুলাই সৌদি আরব পালিয়ে যান মূল অভিযুক্ত কামরুল। ১৫ অক্টোবর তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে পরদিন আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
বিডি প্রতিদিন/১১ এপ্রিল, ২০১৭/ফারজানা