এবছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমে যাওয়ায় বিস্মিত হননি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে শুনলে (পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমে যাওয়া) কেউ বিস্মিত হতে পারে। তবে আমাদের কাছে এটা খুবই স্বাভাবিক এবং এজন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম। এ কারণে আমরা বিস্মিত হয়নি। যেহেতু এটা একটা আমাদের অগ্রগতি, সেই কারণে জিনিসটা আমি সবাইকে স্বাভাবিকভাবে নিতে অনুরোধ জানাব।’
স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের এই সমাপনী পরীক্ষায় এবার ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে, যা গতবারের তুলনায় ৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ পয়েন্ট কম। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ১ লাখ ৪ হাজার ৭৬১ জন শিক্ষার্থী, যা গতবারের তুলনায় পাঁচ হাজার কম
শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এই ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী।
পরে তিনি আরও বলেন, ‘সমমানের খাতা দেখা, এক্ষেত্রে তিন বছর ধরে প্রস্তুতি নিয়ে প্র্যাকটিস করে বাস্তবে প্রয়োগ করলাম তাতে ফলাফলের ওপর কিছুটা প্রভাবে পড়েছে। পাস করেছে কিছুটা কম, পাস করার হারও কম। কিন্তু একটা এটা আমরা একটা নিয়মের মধ্যে বা একটা মানের মধ্যে নিয়ে আসতে পেরেছি। খাতা দেখার ক্ষেত্রে এখন আর কোন ছাত্রছাত্রী বঞ্চিত হবে না। কেউ বেশিও পেয়ে যাবে না কমও পেয়ে যাবে না। শিক্ষকদেরও ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ নেই।’
বিডি-প্রতিদিন/০৩ মে, ২০১৭/মাহবুব