প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদে তিনটি কবিতা পাঠ করেছেন কাজী ফিরোজ রশিদ। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদকে উদ্দেশ করে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য একের পর এক কবিতা পাঠে অধিবেশন কক্ষে হাসির রোল পড়ে যায়। অনেক সদস্য টেবিল চাপড়ে তাকে অভিনন্দন জানান। এসময় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করা ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, আপনি কবি হলেন কবে? এটা তো জানা ছিল না। আপনার নেতা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ কবি, এটা আমরা জানি। কিন্ত আপনি যে কবি এটা জানতাম না। তবে নেতা কবি হলে, শিষ্যও কবি হওয়া স্বাভাবিক।
সংসদ অধিবেশনে আজ মঙ্গলবার বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা শেসে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে কাজী ফিরোজ রশিদের পাঠ করা কবিতার লাইনগুলো হচ্ছে, ‘জীবনে অনেক কিছু হারিয়েছি/ হারাতে হারাতে আজ বড় ক্লান্ত/ এখন আর হারানোর কোনো ভয় আমি করি না/ কারণ পৃথিবীতে যার পাবার কিছু নেই/ তার হারানোর ভয়ও নেই/ পৃথিবীতে সবচেয়ে দুঃখী সেই, যে নিজের মান-অভিমান, দুঃখ-কষ্ট কাউকে দেখাতে পারে না/ একটু চিৎকার করে কাঁদতেও পারে না/ শুধু চোখের জ্বলে ভাসে’।
সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদের উদ্দেশে তিনি পাঠ করেন, ‘দেখ ওই চাঁদের দিকে চেয়ে/ কত যে কষ্ট তার বুঁকে/ কখনো কালো মেঘে ঢেকে যায়/ কখনো সে আলো হারায়/ তবুও আলো ছড়িয়ে সে হাসে/ কারণ সে আকাশকে ভালবাসে/ আমার নেতাকে শত কষ্ট জ্বালা যন্ত্রণা/ বেদনা সবকিছু উনাকে ঢেকে দেয়/ আবার সব কিছু উপেক্ষা করে উনি মানুষের মাঝে ফিরে আসেন/ কারণ উনি দেশকে ভালবাসেন’।
সবশেষে স্পিকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, এবার আপনাকে উৎসর্গ করে একটি কবিতা পাঠ করছি। ‘যদি কখনো আমি না থাকি তোমাদের এই সংসদে/ একটি সাদা ফুল রেখে দিও আমার নামে/ আমি অনেক কথা বলেছি তোমাদের মাঝে। রেখে গেলাম সব কিছু আমার সাজানো সংসদে’।
বিডি প্রতিদিন/২০ জুন ২০১৭/এনায়েত করিম