তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সাইবার হামলা মোকাবেলা বড় চ্যালেঞ্জ। এই মুহূর্তে শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের যে কোনো ব্যক্তি, পরিবার, প্রতিষ্ঠান কিংবা দেশের জন্য সাইবার হামলা মোকাবেলা করা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। আজ স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকে কার্যপ্রণালী বিধির ৭১ বিধি অনুসারে জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ নোটিশের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম মিলন (কুমিল্লা-৮) এ নোটিশটি সংসদে উপস্থাপন করেন।
মন্ত্রী বলেন, সাইবার সিকিউরিটি ইস্যু শুধুমাত্র জাতীয় ইস্যু নয়, এটি একটি ক্রস বর্ডার ইস্যু। বিভিন্ন ধরণের সাইবার এন্সিডেন্ট রেসপন্স টিমের সাথে আমাদের চুক্তি স্বাক্ষরিত হচ্ছে। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ১১ মার্চ আমরা সাইবার ঝুকি নিরসনে সাইবার সিকিউরিটি স্ট্যাটেজি প্রণয়ন করেছি। একই বছরের ২৪ মার্চ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তথ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তথ্য নিরাপত্তা পলিসি গাইড লাইন আমরা করেছি। সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ইতোমধ্যে ১০৯৬ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের এই ঘটনা ঘটার পর প্রধামন্ত্রীর নির্দেশনাক্রমে আমরা প্রায় ১০টি বৈঠক করেছি। এ বৈঠকগুলোতে বর্তমানে আমাদের কোন ধরণের আইন, পলিসি, গাইড লাইন দরকার সেগুলো আইডেন্টিফাই করেছি। সেগুলো প্রণয়নের কাজে আমরা হাত দিয়েছি। সাইবার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম গঠন, সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি গঠন, সাইবার সিকিউরিটি কাউন্সিল গঠন এবং ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব গঠনের প্রকল্প ইতোমধ্যেই আমরা গ্রহণ করেছি। পাশাপাশি বাংলাদেশের ২২টি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে আমরা চিহ্নিত করেছি। যার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সাইবার এন্সিডেন্ট রেসপন্স টিম আমরা গঠন করেছি।
বাংলাদেশে যে সাইবার হামলা হচ্ছে, তার অধিকাংশ দেশের বাইরে থেকে আসছে। তাই আমাদের জাতীয় পর্যায়ে সক্ষমতা বৃদ্ধির কার্যক্রম চালানোর জন্য ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার আমরা প্রতিষ্ঠিত করছি। ই-মেইল সার্ভিস ফর গভর্মেন্ট প্রকল্পের মাধ্যমে আমাদের সরকারের ই-মেইল এবং তথ্য আদান-প্রদান নিশ্চিত করার জন্য ডেটা সেন্টার আমরা নিশ্চিত করছি। পাশাপাশি ক্রস বর্ডার কলাবেশনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক যে সাইবার যে ক্রিমিনাল আছে তাদের যে আক্রমণ সেগুলোকে প্রতিহত করার চেষ্টা করছি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার