কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার ফরহাদ মজহারের আদালতে দেওয়া জবানবন্দির সঙ্গে তদন্তে পাওয়া তথ্য মিলছে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
বুধবার ডিএমপি সদর দফতরে ‘ডিএমপি’র শিক্ষা ভাতা সহায়তা কর্মসূচিতে সাউথ-ইস্ট ব্যাংকের ১৫ লাখ টাকা অনুদান প্রদান’ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
গত ৩ জুলাই ভোর ৫টার দিকে ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হলে তাকে অপহরণ করা হয় বলে দাবি করে তার পরিবার। এমনকি তারা আরও অভিযোগ করেন, স্ত্রীর কাছে ফোন করে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এরপর স্ত্রী ফরিদা আক্তার বিষয়টি পুলিশকে জানানোর পর তাকে উদ্ধারে অভিযান শুরু হয়। এরপর রাতে যশোরে ঢাকাগামী একটি বাস থেকে ফরহাদ মজহারকে উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের পর মঙ্গলবার সকালে তাকে প্রথমে রাজধানীর আদাবর থানায় নেওয়া হয়।
সেখান থেকে সকাল ১১টার কিছু আগে নেওয়া হয় মিন্টো রোডে গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে। ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতে নেওয়া হয়। সেখানে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন ফরহাদ মজহার।
এদিকে, ফরহাদ মজহারকে অপহরণের ঘটনা রহস্যজনক উল্লেখ আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ফরহাদ মজহারকে অপহরণের ঘটনার তদন্ত করছে। তদন্তে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে আর তিনি আদালতে যে তথ্য দিয়েছেন, তার মধ্যে গড়মিল পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি বিস্তারিত জানাবেন বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।
এক প্রশ্নের জবাবে আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, নগরীর বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে মোট ৯০ লাখ তথ্য ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে।
পুলিশ এখন অনেক তৎপর রয়েছে বলে জঙ্গি সদস্যরা রাজধানীতে তৎপরতা চালাতে পারছেন না বলেও দাবি করেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/১২ জুলাই, ২০১৭/মাহবুব