মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে এখনও আসছেন রোহিঙ্গারা। গত দুইদিনে ৫৯ পরিবারের ২৮৩ জন রোহিঙ্গা নাফ নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। গত ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পরও কোনো মতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ থামছে না। প্রতিদিন টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে রোহিঙ্গারা।
গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুইদিনে টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ নাফনদী ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে বুধবার ৪৪ পরিবারের ২১৩ জন এবং বৃহস্পতিবার ১৫ পরিবারের ৭০ জন রোহিঙ্গা শিশু, নারী ও পুরুষ নতুন করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। রোহিঙ্গারা জানান, মিয়ানমারের সেনা ও পুলিশি নানা নির্যাতন চালিয়ে তাদের দেশ ছাড়তে বাধ্য করছে।
টেকনাফের সাবরাং হারিয়াখালীর সেনাবাহিনী ত্রাণকেন্দ্রে দায়িত্বরত জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি ও টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, কিছুতেই রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ থামছে না। অন্যদিকে কোনো না কোনো সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন রোহিঙ্গারা ঢুকছে বাংলাদেশে। তবে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার সন্ধা পর্যন্ত ৫৯ পরিবারে ২৮৩ জন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। তাদের টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এদিকে, গত বছরের ২৫ আগস্টের পর থেকে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা পাচার, আশ্রয়, নৌকায় পারাপার ও রোহিঙ্গা দালালসহ প্রায় ৭ শতাধিক দালালকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে তাদের সাজা ও জরিমানা করা হয়।
উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছে গত নভেম্বরের শেষে। চুক্তির পরও গত আড়াই মাসে আইওএম ও সরকারের দেওয়া তথ্যমতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে প্রায় ৬৫ হাজার রোহিঙ্গা।
বিডি-প্রতিদিন/১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/মাহবুব