খাবার সঠিকভাবে পরিপাক না হওয়া এবং এর পুষ্টি উপাদান শরীরে শোষিত না হওয়া পর্যন্ত পুষ্টি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয় না। এই অবস্থায় খাবার খাওয়ার পর এমন কোনো কাজ করা উচিত নয়, যা পুষ্টি পাওয়ার পরিবর্তে উল্টো প্রভাব ফেলবে।
এমন কিছু অভ্যাস আছে যেগুলো খাওয়ার পর করা বিপজ্জনক হতে পারে। আপনিও যদি এমন কিছু করেন, তাহলে সুস্বাস্থ্যের জন্য এখনই এগুলো করা বন্ধ করুন। তার আগে কী সেসব কাজ, চলুন জেনে নেওয়া যাক-
খাওয়ার পরপরই ফল খাওয়া
খাবারের সঙ্গে ফল খেলে ফল পেটেই রয়ে যায়। অন্ত্রে ঠিকমতো পৌঁছায় না। এমন পরিস্থিতিতে ফল থেকে পাওয়া পুষ্টি অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এই ভিত্তিতে, বলা হয় যে খাবারের প্রায় এক ঘণ্টা পরে ফল খাওয়া উচিত বা খাবারের কয়েক ঘণ্টা আগে তা খাওয়া যেতে পারে।
তবে সকালে খালি পেটে ফল খাওয়া ভালো।
চা খাওয়া
চা পাতায় উচ্চ অম্লতা আছে। এটা প্রোটিনের হজমকে প্রভাবিত করে এবং সহজে হজম হয় না। এমতাবস্থায় খাওয়ার এক থেকে দুই ঘণ্টা পরই চা পান করার চেষ্টা করুন।
গোসল করা
গোসল একটি শারীরিক কার্যকলাপ। এই সময়, হাত ও পা বেশ সক্রিয় অবস্থায় থাকে। যে কারণে এই অঙ্গগুলোর রক্তপ্রবাহ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। এই অঙ্গগুলোতে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পাকস্থলীতে রক্ত প্রবাহকে প্রভাবিত করে এবং হজম প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে।
খাওয়ার পর হাঁটা
খাওয়ার পর হাঁটা একটি ভালো অভ্যাস। তবে খাওয়ার পরপরই হাঁটা পরিপাকতন্ত্রকে প্রভাবিত করে। হাঁটার ফলে আমাদের শরীরের শক্তি যেমন বার্ন হয়, তেমনই শরীরের ভেতরে হজম প্রক্রিয়ার জন্যও শক্তির প্রয়োজন হয়। এমন পরিস্থিতিতে খাবারের পর হাঁটাহাঁটি করা ভালো কাজ হতে পারে। কিন্তু খাবার সঙ্গে সঙ্গেই হাঁটতে বের হলে তার বিপরীত ফল হতে পারে।
ঘুমানো
খাবার হজম হতে কিছুটা সময় লাগে। এমতাবস্থায় খাওয়ার পরপরই না ঘুমানোর চেষ্টা করুন। এতে গ্যাস ও অন্ত্রের সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
ধূমপান
সিগারেট বা ধূমপান নিজেই একটি খারাপ আসক্তি। এর ফলে অনেক ধরনের হৃদরোগ এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগের দিকে আপনাকে পরিচালিত করে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, খাওয়ার পরপরই ধূমপান দশগুণ বিপজ্জনক হতে পারে। খাবার খাওয়ার পরে ধূমপান করলে সাধারণত ক্ষতি কয়েকগুণে বেড়ে যায়। এর পাশাপাশি ক্যান্সারের ঝুঁকিও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ