কোটা ব্যবস্থা সংস্কার নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর আজকের মতো আন্দোলন আপাতত স্থগিত করেছে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসান আল মামুন জানান, রাতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করা হবে। এরপর এ নিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজু ভাস্কর্যের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনের মতামত জানানো হবে।
এর আগে বুধবার বিকেলে জাতীয় সংসদে কোটা নিয়ে ঢাকার সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে ছাত্ররা যেহেতু আর কোটা ব্যবস্থা চায় না সেহেতু এখন থেকে বাংলাদেশে আর কোটা ব্যবস্থা থাকবে না। তিনি বলেন, এখন থেকে মেধার ভিত্তিতে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হবে।
এসময় কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের (ভিসি) বাসভবনে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এ হামলা করেছে, তারা ছাত্র বলে বিশ্বাস করি না।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, অর্জিত শিক্ষা ব্যবহার হওয়ার কথা গঠনমূলক কাজে। কিন্তু এখন ব্যবহার হচ্ছে গুজব ছড়ানোর কাজে। সেদিন এক ছাত্রের মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হলো, তখন ছাত্রীরাও হলের গেট ভেঙে বেরিয়ে আসে। সেদিন কোনো অঘটন ঘটলে তার দায়িত্ব কে নিতো? সবচেয়ে ন্যাক্কারজনক ঘটনা হলো ভিসির বাড়িতে আক্রমণ। আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম করে এই দেশ স্বাধীন করেছি, এতোদূর এনেছি। কিন্তু কখনো ভিসির বাড়িতে হামলা হতে পারে কেউ চিন্তাও করতে পারে না। সবকিছু ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয়েছে। ভিসির ওপর আঘাত করতে চেয়েছে। একতলা-দোতলা সব তছনছ করে দিয়েছে। ক্যামেরা সরিয়ে নিয়ে গেছে। কতো পরিকল্পিত। এই হামলার নিন্দা জানাই, যারা এ হামলা করেছে, তারা ছাত্র বলে বিশ্বাস করি না।
বিডিপ্রতিদিন/ ই-জাহান