জাতীয় সংসদে ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ’ প্রত্যয়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
এবারের প্রস্তাবিত বাজেট অনুসারে বেশ কিছু পণ্যের দাম বাড়তে পারে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক সেসব পণ্যের তালিকা।
প্রস্তাবিত বাজেটে যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে:
১. মোবাইল ও ব্যাটারি–চার্জার, ২০০০ ভোল্ট পর্যন্ত ইউপিএস, আইপিএস ও ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার আমদানিতে শুল্ক বাড়ছে। ফলে এসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
২. ল্যাম্প হোল্ডারের দাম বাড়বে, বাইসাইকেল তৈরি সরঞ্জামে আমদানি শুল্ক বেড়েছে।
৩. পলিথিনের ব্যবহার কমানোর জন্য, পলিথিন ব্যাগ ও প্লাস্টিক ব্যাগ ও মোড়কের ওপর ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
৪. প্রসাধনসামগ্রী, যেমন: সানস্ক্রিন, হাত–নখ–পায়ের প্রসাধনসামগ্রীর ওপর ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
৫. এনার্জি ড্রিংকের ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ২৫ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে এনার্জি ড্রিংকের দাম বাড়তে পারে।
৬. সিগারেট পেপার, বিড়ির পেপারের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
৭. সিরামিকের বাথটাব, জিকুজি শাওয়ার, শাওয়ার ট্রের সম্পূরক শুল্ক ২০ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
৮. শেভিং সামগ্রী, শরীরের দুর্গন্ধ ও ঘাম দূরীকরণে ব্যবহৃত সামগ্রী (আতর ব্যতীত), সুগন্ধযুক্ত বাথ সল্ট ও অন্যান্য গোসলসামগ্রীতে সম্পূরক শুল্কহার ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।
৯. মধু, চুইংগাম, সুগার কনফেকশনারি, চকলেট কোকোযুক্ত খাবার, বাদাম , সিরিয়াল, ওটস, খুচরা মোড়কে সরাসরি বিক্রির জন্য আমদানিতে শুল্কহার ২৫ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।
১০. রেফ্রিজারেটর তৈরির উপকরণ রেফ্রিজারেন্ট, প্রিন্টেড স্টিল শিট, কপার টিউব, আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান