সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমি ডিসিদের (জেলা প্রশাসক) স্পষ্ট করে বলেছি, এমন কিছু করবেন না যাতে সরকার ও রাষ্ট্রের ক্ষতি হয়। এমন কোন চাপের কাছে আপনারা মাথা নত করবেন না। এটাও বলেছি, আপনারা মন্ত্রী বা ভিআইপির এতো প্রটৌকল দিতে গেলে প্রশাসনিক কাজ করবেন কখন? কাজেই এতো প্রটৌকল দেওয়ার দরকার নেই। আমি ও রেলমন্ত্রী আমরা বলেছি আমাদের এতো প্রটৌকলের দরকার নেই।
তাহলে কি প্রটৌকল কমাতে বলেছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, কমানো উচিত। না হলে ওনারা (ডিসি) কাজ করবে কেমনে? আর গভমেন্টের শেষ বছর এটি। এখনো অনেক কাজ বাকী আছে ডিসি-এসপিদের। আর ইলেকশন গ্রহণযোগ্য করতে তাদের অনেক কাজ রয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, অাপনারা রমজানের ঈদের সময়ও ভাল দায়িত্ব পালন করেছেন। গতবারের মতো ঈদুল আযহাতে মানুষ যাতে স্বস্তিতে বাড়ি যেতে পারে এবং ফিরে আসতে পারে। সে চেষ্টা অব্যাহত রাখবেন। দুর্ঘটনা যাতে কমিয়ে আনা যায় সেজন্য ঈদের পরেও যেন মনিটরিংটা অব্যাহত থাকে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, একটা বিষয় অত্যন্ত পরিষ্কার। নির্বাচনের সিডিউল পৌনে তিনমাসের মতো সময় আছে। কাজেই তাদের প্রতি সরকারের জেনারেল মেসেজ। সেটা সরকার প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলা প্রশাসক সম্মেলন উদ্বোধন করতে গিয়ে দিয়েছেন। আমরা মন্ত্রীরা সেখানে ছিলাম। ফলে সরকার প্রধানের মেসেজটাই আমাদের বক্তব্য। এর বাইরে আমরা কিছু মনে করি না।
মন্ত্রী বলেন, এ সময়ে নতুন বড় বড় স্বপ্ন দেখিয়ে কোন লাভ নেই। আর যেসব বিষয়ে আমরা প্রাইয়োরিটি দিচ্ছি। তার মধ্যে বড় স্বপ্ন হল পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও কর্ণফুলী টানেল। এগুলো যতদূর সম্ভব অক্টোবরের জাতীয় নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা পর্যন্ত কাজগুলো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। কাজের গতিকে ত্বরান্বিত করা। আর ইমিডিয়েট যেটা সেটা হলো রাস্তাগুলোকে ব্যবহারযোগ্য করা। সচল রাখা বেশি জরুরি। কারণ নতুন করে রাস্তা তৈরি এখন আমার পক্ষে সম্ভব নয়। কাজেই আমি এখন এ স্বপ্নটা দেখাবো কেন?
বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান