বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেবরা শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে পারছেন না বলেই এখন প্রলাপ বকতে শুরু করেছেন। গুজবের আশ্রয় নিয়েছেন। ক্ষমতাসীন নেতারা তাদের নিজস্ব মিডিয়া দিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে নোংরা অপপ্রচারে মেতে উঠেছেন। ছাত্র আন্দোলনের সহিংসতায় বিএনপিকে জড়াতে তারা কুৎসিত অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন।’
বুধবার সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব বলেন। এসময় নিরাপদ সড়কের দাবিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনেক রাজনৈতিক রঙ দিতেই মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন বিএনপির এ নেতা।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়াপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহদফতর সম্পাদ মো: মুনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রিজভী আরও বলেন, ৬ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে একটি ছবি ছাপা হয়েছে, যে ছবিটি ৬ বছরের পুরোনো, ২০১২ সালের ২৫ জানুয়ারি আরেকটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত একটি ছবি। ছবিতে দেখানো হয়েছে ছাত্রদলের এক নেতার নাম, আসলে সে ছাত্রদলের নেতা নন এটা ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের ছবি। ছবিতে যারা ছিল তারা সবাই ছাত্রলীগ। জনমনকে বিভ্রান্ত করতে বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কুৎসা রটনার জন্য সরকারি প্রোপাগান্ডা মেশিন দিনরাত কাজ করছে। যেটার নজির গত ৬ আগস্ট ওই পত্রিকায় দেখানো হলো। সরকারের প্ররোচনায় পত্রিকাটি গুজব রটিয়ে চলছে। আমরা এর নিন্দা জানাচ্ছি।
রিজভী আরও বলেন, গতকাল দেখা গেছে কীভাবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ শিক্ষার্থীকে কোমরে দড়ি লাগিয়ে রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে। এ যেন গোটা ছাত্রসমাজের কোমরে দড়ি বেঁধে টেনে নেয়া হচ্ছে। এটা জাতির জন্য শুধু লজ্জার নয়, এ দৃশ্য দেখে মানুষ ধিক্কার জানাচ্ছে। সরকার কতটা নিষ্ঠুর, নির্মম হতে পারে যে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের ন্যায্য আন্দোলনের দাবি দমন করতে তাদরে গ্রেফতার করে পায়ে ডান্ডাবেড়ি ও কোমরে দড়ি দিয়ে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। অবৈধ সরকারকে টিকিয়ে রাখতে কতটা নির্মমতার পথ বেছে নিতে পারে, এটি তার একটি নিকৃষ্ট উদাহরণ।
তিনি বলেন, তারা তো কোনো অন্যায় করেনি। নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। এমন ন্যাক্কারজনক দৃশ্যের নিন্দা জানানোর ভাষা আমার নেই। অবিলম্বে তাদের রিমান্ড বাতিল করে মুক্তি দিতে হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান