বিএনপির নির্যাতিত, গুম ও খুন হওয়া নেতাকর্মী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে ঈদ পূর্ব শুভেচ্ছা বিনিময়কালে নির্যাতিত পরিবারের শিশুদের কথা শুনে কেঁদেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার সন্ধ্যায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। কয়েকজন বাবাহারা শিশুর বাবাকে ফিরে পাওয়ার আকুতি শুনে মহাসচিবসহ উপস্থিত সবাই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা এমন এক দেশে বাস করছি যেখানে শিশুদের আর্তনাদও কারো কানে পৌঁছে না। ভয়াবহ এক কারাগারে বসবাস করছি আমরা। রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব নাগরিকদের রক্ষা করা কিন্তু তারাই মানুষ তুলে নিয়ে যাচ্ছে!
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ এখন সত্যিকার অর্থেই একটি ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। যেখানে জনগণের কোনো কথা বলার অধিকার নেই, নিরাপত্তা নেই। তারাই নির্ধারণ করে কারা বেঁচে থাকবে আর কারা মরে যাবে। বাবাকে ফিরে পাবার জন্য শিশুদের আর্তনাদ তাদের কানে পৌঁছাবে কিনা জানি না। কিন্তু আল্লাহর কাছে পৌঁছাবে ঠিকই।
অসহায় পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের ম্যাডাম কারাগার থেকে আপনাদের খবর নেন। লন্ডন থেকে তারেক রহমান অনেক বেশি খবর নেন। আপনারা নিজেদের অসহায় ভাববেন না। এ দেশের মানুষ আপনাদের সাথে আছে। আপনাদের কষ্ট জাতির কষ্ট। আপনাদের সাহস রাখতে হবে। এই ভয়াবহ দানবের পতন ঘটাতে হবে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আমরা দীর্ঘদিন সংগ্রামে আছি। আমরা ত্যাগ করছি। এই ত্যাগ বৃথা যাবে না। শিশুরা কাঁদছে, মায়েরা কাঁদছে। নিঃসন্দেহে মানুষ জেগে উঠবে, পরিবর্তন আসবে। এই দানব সরকারের পতন ঘটবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে নির্যাতিত পরিবারের সদস্যদের হাতে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
বিডি প্রতিদিন/২১ আগস্ট ২০১৮/আরাফাত