স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, জনগণ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে থাকলেও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে।
শনিবার ১৪ দলীয় জোটের এক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
নাসিম বলেন, “যখনই নির্বাচন আসে, ভোটের মাধ্যমে জনগণের রায় নেওয়ার সময় আসে, তখনই একটি অশুভ মুখচেনা মহল তৎপরতা শুরু করে দেয়। আজকে যখন নির্বাচন প্রায় ঘরের দুয়ারে কড়া নাড়ছে, জনগণ যখন উন্মুখ হয়ে আছে তাদের রায় দেওয়ার জন্য, তখন আবার সেই মুখচেনা মহলটি মাঠে নেমে গেছে।”
বিএনপির সংলাপের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, “এই সংলাপের অর্থই হলো দেশে একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করা, যে পরিস্থিতির মাধ্যমে দেশে একটা অসাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা যায়। এ জন্যই সংলাপের কথা বলা হয়। এর সঙ্গে ১৪ দল একমত নয়, ১৪ দল ছাড় দেওয়ার পক্ষে নয়।”
নির্বাচন নিয়ে সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় চলতি মাসের ১৮ তারিখ থেকে ১৪ দল মাঠে নামবে বলে জানান জোটের মুখপাত্র নাসিম।
তিনি বলেন, “১৪ দল সজাগ আছি। আমরা অনুরোধ করবো দেশবাসীকে, আগামী নির্বাচনকে ফলপ্রসূ করার জন্য আপনারা সজাগ থাকবেন। এই লক্ষ্যে সেপ্টেম্বর মাসের ১৮ তারিখ থেকে মাঠে নামব। পর্যায়ক্রমে সারা বাংলাদেশে বিভাগীয় সমাবেশ করব।”
আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমণ্ডির কার্যালয়ে ১৪ দলের বৈঠকে জাতীয় পার্টি জেপির মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, জাসদের আরেক অংশের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।
বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান