স্বপ্নের পদ্মা সেতুর কাজের অগ্রগতি দেখতে রবিবার পদ্মা নদীর দুই পাড়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বহুল আলোচিত পদ্মা সেতুর ৬০ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। এই কাজের মান আর অগ্রগতি ঘুরে দেখবেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া সুধী সমাবেশ ও জনসভায় বক্তব্যও রাখবেন তিনি। এতে দক্ষিণের জেলা মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর আর মাদারীপুরের নেতাকর্মীদের আর মধ্যে বইছে প্রাণচাঞ্চল্যতা। আয়োজকরা আশা করছেন, মাদারীপুরের জনসভায় লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত হবে।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার সকাল ১১টায় মাওয়া প্রান্তের পদ্মা সেতুর নামফলক উন্মোচন, মহাসড়কের ঢাকা-মাওয়া অংশের উদ্বোধন, পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন। পরে তিনি মাওয়ার টোলপ্লাজার সামনে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এরপরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুপুর সোয়া ১২টার দিকে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে গিয়ে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি পরিদর্শন, মূল নদী শাসন কাজ সংলগ্ন স্থায়ী নদী তীর প্রতিরক্ষামূলক কাজের উদ্বোধন, পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের নামফলক উন্মোচন এবং পাঁচ্চর-ভাঙ্গা ১ হাজার ৩৯০ মিটার ছয় লেন সড়কের কাজের উদ্বোধন করবেন। এরপর বিকেল ৩টায় মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ী ঘাট এলাকায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগদান করবেন।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ মোল্লা জানান, প্রধানমন্ত্রীর এই সফর বিশেষ বার্তা বহন করবে দক্ষিণাঞ্চলবাসীর জন্যে। বহুল কাঙ্খিত পদ্মা সেতু এখন দৃশ্যমান। সেই সেতুর কাজের অগ্রগতি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। আমরা এই সভা থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেরও দিক নির্দেশনা পাবো। আশা করছি, এই সভায় মাদারীপুর থেকে লক্ষাধিক মানুষ জমায়েত হবে।
মাদারীপুর পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমন নিয়ে আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনী থেকে নেয়া হয়েছে জোরালো নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আমরা আট স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি। বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা পোশাক পরিহিত ও সাদা পোশাকে টহল দিবে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্যে সার্বিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম