পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বিশ্বের বৃহত্তম ব-দ্বীপ বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তঃসরকার প্যানেল (আইপিসিসি) বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহের মধ্যে অন্যতম ঘোষণা করেছে। এরপর থেকে সরকারের সময়োযোগী সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তা মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে একাদশ সংসদে গতকাল প্রশ্নোত্তর পর্বে মমতাজ বেগমের (মানিকগঞ্জ-২) প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ সরকার পরিবেশ বিষয়ক বেশ কিছু বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সপ্তম পঞ্চকবার্ষিকী পরিকল্পনায় পরিবেশগত স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য কৌশল নেয়া হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে, -জলবায়ু পরিবর্তন ব্যবস্থাপনা ও স্থিতিস্থাপকতা (অভিযোজন ও প্রশমন সমন্বয়ে), পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা, ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা। এছাড়া জলবায়ুর ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় (২০১৬-২০২০) বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ শতবর্ষের একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে সরকারি দলের সদস্য আলী আজমের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, প্রতি দশ বছর পর পর জনশুমারী ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী ২০২১ সালে জনশুমারী ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশে সর্বশেষ ২০১১ সালে ‘আদমশুমারি ও গৃহগণনা’ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সে অনুযায়ী জনসংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ৯৭ লাখ ৭২ হাজার ৩৬৪জন। এরমধ্যে পুরুষ ছিল ৭ কোটি ৪৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৮৬জন। আর মহিলা ছিল ৭কোটি ৪৭ লাখ ৯১ হাজার ৯৭৮জন।
তিনি আরও জানান, ২০১৩ সালে জাতীয় সংসদে ‘পরিসংখ্যান আইন, ২০১৩’ পাস হয়। সে আইন অনুসারে আদমশুমারীকে ‘জনশুমারী’ নামে অবহিত করা হয়েছে।
৩০ এপ্রিল ২০১৯/আরাফাত