ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ এরই মধ্যে দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ধীরে ধীরে আরও শক্তি হারিয়ে বাংলাদেশ অতিক্রম করে চলে যাচ্ছে।
আবহাওয়া বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘উইন্ডির’ তথ্যানুযায়ী, বর্তমান শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে জামালপুর হয়ে সীমান্তের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল ‘ফণী’।
ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর (আইএমডি) ও ঝড় পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে, ফণী বাংলাদেশের ভূখণ্ড অতিক্রম করে ভারতের মেঘালয় রাজ্য হয়ে হিমালয়ে গিয়ে থামতে পারে। সেখানে বাধা পেয়ে এটি প্রবল বর্ষণ ঘটাবে। এর প্রভাবে মেঘালয় ও বাংলাদেশের সিলেটে ২০০ থেকে ৩০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে। এর ফলে হাওর ও সিলেট এলাকায় হঠাৎ বন্যার আশঙ্কা আছে।
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার ভোর ৬টার দিকে পশ্চিমবঙ্গে হয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল উপকূল এলাকায় আঘাত হানে।
সেখান থেকে দুপুরে উত্তরবঙ্গের নাটোর-সিরাজগঞ্জ হয়ে জামালপুর দিকে ধাবিত হয়।
প্রসঙ্গত, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ শুক্রবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যে আঘাত হানে। সেখানে পুরী, গোপালপুর উপকূল এলাকায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় এটি। এতে নিহত হয় কমপক্ষে ৮ জন। পরে পশ্চিমবঙ্গের দিকে অগ্রসর হয় ‘ফণী’।
বিডি প্রতিদিন/কালাম