২৫ মে, ২০১৯ ১৮:১৫

উন্নয়ন প্রকল্পে লুটপাটের মহোৎসব চলছে: পীর চরমোনাই

নিজস্ব প্রতিবেদক

উন্নয়ন প্রকল্পে লুটপাটের মহোৎসব চলছে: পীর চরমোনাই

ফাইল ছবি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর চরমোনাই বলেছেন, দুর্নীতি জাতীয় অগ্রগতির প্রধান বাধা। দুর্নীতির কারণেই সমাজে আয় বৈষম্য ও বেকারত্ব বাড়ছে। দেশের উন্নয়ন প্রকল্পে লুটপাটের মহোৎসব চলছে। 

শনিবার রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত ‘ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে মাহে রমযানের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

এসময় তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রতি চারজনের একজন এখনও অতিদরিদ্র। এ দুর্নীতিগ্রস্ত নেতৃত্ব ও রাষ্ট্রব্যবস্থা বহাল রেখে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রথমেই দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হবে। 

অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে ও মাওলানা আরিফুল ইসলামের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম প্রমুখ। 

এসময় তিনি বলেন, যাকাত দারিদ্র্য বিমোচনের অন্যতম হাতিয়ার। অর্থনীতিবিদদের মতে, বাংলাদেশে বছরে ৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি যাকাত আদায় হতে পারে। যাকাতের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বৈষম্য দূর করে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব। সুষ্ঠুভাবে যাকাত ব্যবস্থাপনার জন্য সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। 

পীর চরমোনাই বলেন, ধর্ষণ আজ মহামারি আকার ধারণ করেছে। ধর্ষকের হাত হতে দুধের শিশু থেকে শতবর্ষী বৃদ্ধা পর্যন্ত কেউই রেহাই পাচ্ছে না। সরকার মানুষের ইজ্জতের নিরাপত্তাটুকুও পর্যন্ত দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি ধর্ষকের বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি ইন্টারনেটের সকল অশ্লীল সাইট বন্ধের জোর দাবি জানান।
 
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সরকার কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। তিনি কৃষির উন্নয়ন ও কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় সঠিক ও সময়োপযোগী কৃষিনীতি প্রণয়নের জন্য সরকারে প্রতি আহ্বান জানান। 

তিনি বলেন, সমাজে অপরাধপ্রবণতা ও অনাচার দিন দিন বেড়েই চলছে। মানুষের নৈতিক অবক্ষয় সমাজে পচন ধরিয়ে দিচ্ছে। এ অবস্থার পরিবর্তনে আমাদেরকে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাকওয়ার অনুশীলন করতে হবে এবং সমাজে ‘দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন’ নীতি কার্যকর করতে হবে।


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর