১৫ জুন, ২০১৯ ১৮:৫৩

ভারতের নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের সাথে ড. মোমেনের প্রথম বৈঠক

অনলাইন ডেস্ক

ভারতের নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের সাথে ড. মোমেনের প্রথম বৈঠক

ভারতের নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শংকরের সাথে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর এস. জয়শংকরের সাথে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটিই প্রথম সাক্ষাৎ।

Conference on Interaction and Confidence Building Measures in Asia (CICA) এর ৫ম শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবে-তে অবস্থানরত রাষ্ট্রপতির সফরসঙ্গী হিসেবে আছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
 
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান গভীর হৃদ্যতাপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রেক্ষিতে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারিত হবে। বহুল প্রত্যাশিত তিস্তা চুক্তি সম্পাদন ও সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভারতের সক্রিয় সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করে বলেন, প্রতিবেশী দেশসমূহের সাথে ভারতের সদ্ভাব ও সম্পর্ক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার পরিণত সংবেদনশীলতা (mature sensitivity) প্রদর্শন করেছে।
 
ভারতের পূর্বমুখী অর্থনৈতিক কূটনীতির প্রবেশদ্বার (gateway) হিসেবে বাংলাদেশের অনন্য সম্ভাবনা ও ভূ-কৌশলগত সুবিধার কথা উল্লেখ করে ড. এস. জয়শংকর বলেন, BIMSTEC-কে শক্তিশালী করলেতা উভয় দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে। 

তিনি আরও বলেন, ভারত আঞ্চলিক সংযোগ (regional connectivity) এর ওপর সমধিক গুরুত্ব আরোপ করে থাকে।
 
ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা এবং পরিপক্ক ও প্রশংসনীয় নেতৃত্বের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ-বিরাজিত অমীমাংসিত ও স্পর্শকাতর ইস্যুসমূহ সমাধান করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককেযে অভূতপূর্ব উচ্চতায় উন্নীত করেছেন, তা বিশ্বের অপরাপর দেশ সমূহের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। তিনি ভারতের সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ হতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এবং ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য ড. এস. জয়শংকরকে অভিনন্দন জানান। 
 
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাংলাদেশে প্রায় ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (Special Economic Zone, SEZ) ভারতীয় বিনিয়োগ আকর্ষণে ড. এস. জয়শংকরের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি ২০২০ সালে অনুষ্ঠিতব্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে ভারতকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান। 

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অতিসত্বর বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। ড. এস. জয়শংকর দ্রুতই একটি সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফর করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন।

১৯৭১ সালে ভারতে শরণার্থী হিসেবে তার অভিজ্ঞতার স্মৃতিচারণ করে ড. মোমেন মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

ড. মোমেন বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর দ্বিপাক্ষিক সফরের সর্বপ্রথম গন্তব্য হিসেবে তিনি ভারতকেই বেছে নেন। এস. জয়শংকর ১৯৭১ এর ঘটনা প্রবাহকে তার জীবনের defining moment হিসেবে অভিহিত করে মুক্তিযুদ্ধের সুদূরপ্রসারী প্রভাবের কথা উল্লেখ করেন।

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর