বিমানের ক্রয় সংক্রাংন্ত বিষয়ে কমিটিকে না জানিয়ে কোনো বড় ধরনের চুক্তি না করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। একইসঙ্গে মিশর থেকে ত্রুটিপূর্ণ বিমান ভাড়া করার ক্ষেত্রে যে অসম চুক্তি হয়েছিল তা তদন্তের জন্য সুপারিশ করে কমিটি।
সংসদ ভবনে রবিবার অনুষ্ঠিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া বিগত ১০ বছরে বিমানের কী কী যন্ত্রাংশ ক্রয় করা হয়েছে, তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা চেয়েছে কমিটি।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি র,আ,ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, মো. আসলামুল হক, তানভীর ইমাম, আনোয়ার হোসেন খান, সৈয়দা রুবিনা আক্তার বৈঠকে অংশ নেন।
সংসদের গণ সংযোগ বিভাগ জানায়, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ২০২০ সালের মার্চ হতে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত প্রত্যেক মাসের ১৭ তারিখে অনলাইনে টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রথম ১৭ জনকে ১৭ শতাংশ মূল্য ছাড় দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মিশর হতে ইজিপ্ট এয়ারক্রাফ্ট এর যে দুটি বিমান ভাড়া করা হয়েছিল তার একটিকে ইতোমধ্যে ফেরত দেওয়া হয়েছে। যার ফলে প্রতিমাসে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার সাশ্রয় হচ্ছে বাংলাদেশ বিমানের। বাকি অন্য বিমানটিও ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন