ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে চালু হলো আরও একটি বিলাসবহুল সর্বাধুনিক যাত্রীবাহি জাহাজ এমভি কুয়াকাটা-২। চার তারকা হোটেলের আদলে নির্মিত লঞ্চটি সোমবার দুপুরে ঢাকার সদরঘাটে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন নৌযান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার চেয়ারম্যান মাহবুব উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম।
উদ্বোধন উপলক্ষ্যে দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার ৩ ভাইস চেয়াম্যান বদিউজ্জামান বাদল, রুমি কিসলু ও সালাউদ্দিন আহমেদ এবং ডলার ট্রেডিং কর্পোরেশনের কর্নধার আবুল কালাম খানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন হওয়া নৌযানটি আগামী ৩১ জুলাই থেকে ঢাকা-বরিশাল নৌ-পথে যাত্রী পরিবহন শুরু করবে। পরদিন পহেলা আগস্ট ফের বরিশাল থেকে যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে।
যাত্রীদের আকৃষ্ট করতে আধুনিক এই নৌযানটিতে বিনোদন স্পেস, কিডস জোন, বড় পর্দার টিভি, দেশ বিদেশের চ্যানেল দেখার ব্যবস্থা, অত্যাধুনিক সাউন্ড সিস্টেম, ইন্টারকম আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থা, রেস্টুরেন্ট, উন্মুক্ত ওয়াইফাই সুবিধা সহ নানা সুবিধা রয়েছে।
অন্য জাহাজের চেয়ে ব্যতিক্রম হলো ৪ তলায় ওঠার দুটি সিঁড়ি। সিঁড়ির ধাপগুলোর ভেতরের দিকে যুক্ত করা হয়েছে এলইডি প্যানেল। বরিশাল-ঢাকা নদীপথের যাত্রী সেবার লক্ষ্যে ডলার ট্রেডিং কর্পোরেশন এমভি কুয়াকাটা-২ লঞ্চটি রুটে সংযুক্ত করেছে। এ নিয়ে ডলার ট্রেডিং কর্পোরেশনের লঞ্চের সংখ্যা ৪টি।
এমভি কুয়াকাটা-২ লঞ্চের মালিক পক্ষ জানায়, লঞ্চটি গত ঈদ-উল-ফিতরের আগে উদ্বোধনের কথা ছিল। তখন নানা কারণে নৌযানটি জলে ভাসানো সম্ভব হয়নি। এখন শতভাগ প্রস্তুত করে যাত্রী পরিবহনের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে ৩০ ঘণ্টার বেশী নদীতে নিখুঁতভাবে চালিয়ে ইঞ্জিন পরীক্ষা করা হয়েছে।
এমভি কুয়াকাটা-২ লঞ্চটির নির্মাণ কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা মো. পলাশ জানান, বিশেষজ্ঞ নৌ-স্থপতির নকশায় সমূদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের প্রকৌশলীদের নিবিড় তত্ত্বাবধায়নে ২ বছরের বেশী সময় ধরে ঢাকায় এমভি কুয়াকাটা-২ লঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে।
সমূদ্রগামী বড় জাহাজের আদলে তৈরি এই নৌযানটি লায়ার ডেক, আপর ডেক এবং দেড় শতাধিক কেবিনে দেড় হাজারেরও বেশী যাত্রী এবং ৫ শতাধিক টন পণ্য পরিবহন করতে পারবে। এর ভিআইপি কেবিনগুলো করা হয়েছে ৪ তারকা হোটেলের আদলে।
কুয়াকাটা-২ লঞ্চের কর্নধার আবুল কালাম খান বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তায় লঞ্চটিতে থাকবে একজন কমান্ডারসহ সশস্ত্র আনসার। এছাড়া পুরো লঞ্চটি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসি) আওতাভূক্ত। আধুনিক অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ও পর্যাপ্ত লাইফ বয়া রাখা হয়েছে যাত্রীদের জন্য।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল