যে কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালের আগে ট্রফির সঙ্গে দুই দলের অধিনায়কের ছবি তোলা হয়। তবে এশিয়া কাপ ফাইনালের আগে তা হল না। পাকিস্তানের অধিনায়কের সঙ্গে ছবি তুলতে সূর্যকুমার যাদব রাজি হননি বলেই জানা গেছে। ফলে ফাইনালের আগে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
ফাইনালের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আগাকে। তিনি বলেন, “ওদের যা ইচ্ছা ওরা করতে পারে। আমরা নিয়ম মেনেই চলব। বাকিটা ওদের উপর নির্ভর করছে। ওরা চাইলে আসতে পারে। না আসতে চাইলে আমাদের কিছু করার নেই।”
রবিবারের ফাইনালে ভারত জিতুক বা হেরে যাক, ট্রফি তাদের নিতেই হবে। সেই ট্রফি তুলে দেওয়ার জন্য মঞ্চে থাকবেন মহসিন নকভি, যিনি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রধান এবং পাকিস্তান বোর্ডের প্রধান এবং তিনি দেশটির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
সম্প্রতি ভারতকে কটাক্ষ করে সমাজমাধ্যমে একের পর এক পোস্ট করেছেন নকভি। ভারতীয় দল সেই কর্তার হাত থেকে ট্রফি নেবে কি না, তা এখনও জানা যায়নি। নকভি ইতিমধ্যেই দুবাই পৌঁছে গেছেন। ট্রফি দেওয়ার পাশাপাশি দুই দলের সঙ্গে হাত মেলানোর কথাও রয়েছে তার। ভারত কী করে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
এ দিকে, করমর্দন-বিতর্ক নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে সালমান বলেন, “আমি পেশাদার ক্রিকেট খেলছি ২০০৭ সাল থেকে। কখনও দেখিনি যে ম্যাচের মধ্যে দুটো দল হাত মেলাচ্ছে না। আমার বাবাও ক্রিকেটের বড় ভক্ত। ক্রিকেটের অনেক গল্প ওনার কাছে থেকে শুনেছি। উনিও কখনও বলেননি যে অতীতে এমন কোনও ঘটনা ঘটেছে। দুটো দল ক্রিকেট ম্যাচ খেললেও হাত মেলায়নি, এমন কখনও শুনিনি।”
এখানেই থামেননি সালমান। তিনি আরও বলেন, “বরাবর শুনে এসেছি ক্রিকেট মাঠে ভদ্রতা বজায় রাখা হয়েছে। ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যখন এর থেকেও খারাপ সম্পর্ক ছিল, তখনও দুই দল একে অপরের বিরুদ্ধে খেলেছে। তখনও হাত মিলিয়ে দুইদলের ক্রিকেটারেরা। আমার মতে, ক্রিকেটের জন্য হাত না মেলানোর ঘটনা ভাল উদাহরণ নয়।”
সূত্র: আনন্দবাজার
বিডি প্রতিদিন/নাজিম