ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করে গণফোরাম নেতারা বলেছেন, দেশে হত্যা-খুন-ধর্ষণ বেড়েই চলছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করেছে। উত্তরবঙ্গে প্রায় ৪৫ লাখ মানুষ পানিবন্দি। সরকারের অবহেলার কারণে দেশে ডেঙ্গু মহামারী আকার ধারণ করেছে। কিন্তু তারা মশা না মেরে সবাই কথা বলে যাচ্ছে।
মন্ত্রীদের কথার তোড়ে, দাপটে সব মশার ধ্বংস হওয়ার কথা। প্রত্যেকটি কাজে সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এসময় ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যর্থতার জন্য ঢাকার দুই সিটি মেয়রের পদত্যাগও দাবি করেন বক্তারা।
সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ডেঙ্গু, খুন-ধর্ষণের প্রতিবাদে গণফোরাম-ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বক্তরা এসব কথা বলেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন গণফেরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও অ্যাড. সুব্রত চৌধুরী, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক ও মেজর জেনারেল অব. আ ম সা আমীন, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক অ্যাড. আব্দুর রহমান জাহাঙ্গীর, সাংগঠনিক সম্পাদক লতিফুল বারী হামিম, অধ্যাপক খোরশেদ আলম প্রমুখ।
আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, এটা গণতান্ত্রিক নয়, আমলা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর ভরসা করার সরকার। তাই সরকার সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ। মশার কেনার ওষুধে দুর্নীতি হয়েছে। মশা না মেরে সবাই কথা বলে যাচ্ছে।
মন্ত্রী সাহেবরা যত কথা বলেন, সেই কথা যদি যোগ করা হয় তাহলে দেখা যাবে এই কথার দ্বারা বাংলাদেশে একটা মশাও থাকার কথা না। কথার তোড়ে, মন্ত্রীদের দাপটে সমস্ত মশার ধ্বংস হওয়ার কথা।
তিনি আরও বলেন, দেশে আজ ডেঙ্গু, খুন, ধর্ষণ, বন্যা সব মহামারীতে রূপান্তরিত হয়েছে। এই মহামারীর সরকার জনগণ চায় না। আজ বঙ্গবন্ধুর নাম করে যারা লুটপাট শুরু করেছেন তাদের মুখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নাম শোভা পায় না। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে জোর করে ক্ষমতায় থাকা সরকারকে জনগণ হটিয়ে দেবে।
এসময় সুব্রত চৌধুরী বলেন, এই মুহূর্তে রাষ্ট্রপ্রধান জনগণের পাশে নেই। মানুষ যখন ডেঙ্গুতে ভুগছে কিন্তু দুই মেয়র আনন্দ মিছিল করে বেড়াচ্ছে। এ সরকার ‘ভোট ডাকাতির সরকার’, জনগণের দুঃখে তারা পাশে থাকবে না এটাই স্বাভাবিক। এ সরকার যত দিন দেশ শাসন করবে তত দিন মানুষের দুঃখ বাড়বে। তিনি দুই মেয়রের পদত্যাগ দাবি করেন।
বক্তারা আরও বলেন, উত্তরাঞ্চলের বন্যাকবলিত প্রায় ৫৪ লাখ মানুষ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে।সেখানে সুষ্ঠু ত্রাণকার্য পরিচালিত হচ্ছে না।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন