ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় শতাধিক। নিহতদের মধ্যে ছয় জনের বাড়ি চাঁদপুরে বলে জানা গেছে। এছাড়া একই পরিবারের সাতজন আহত হয়েছেন।
নিহত ফারজানা আক্তার (২০) চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের উত্তর বালিয়া গ্রামের বিল্লাল বেপারীর মেয়ে। প্রাণ গোপাল ঘোষ ওরফে (৬৩) চাঁদপুর পুরানবাজার ঘোষপাড়া এলাকার মৃত নিবারন ঘোষের ছেলে। কাকলী (২০) হাইমচর উপজেলার দক্ষিণ ঈশানপুরের মঈন উদ্দিনের স্ত্রী, মরিয়ম বেগম (৬) একই উপজেলার ঈশানপুরের জাহাঙ্গীরের মেয়ে। মজিবুর রহমান (৫০) হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজারগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম রাজারগাঁও গ্রামের বেপারী বাড়ীর মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে ও কুলসুমা বেগম (৪২) নিহত মজিবুর রহমান স্ত্রী।
আহতরা হলেন- একই পরিবারের মা বেবী বেগম (৪০), ভাই হাসান বেপারী (২৮), নানী ফিরোজা বেগম (৭০), ফারজানার মামি শাহিদা বেগম (৪০), মামতো বোন মিতু (১৭), ইলমা (৭) ও মামতো ভাই জুবায়ের (৩)। আহতরা ঢাকা ও বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
মঙ্গলবার ভোর ২টা ৫৬ মিনিটে কসবা উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এদিকে স্বজনরা জানিয়েছেন, নিহত ফারজানার দাফন করার জন্য প্রস্তুতি চলছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত