বৈশ্বিক ঝুঁকি সূচকে বাংলাদেশের ৬ ধাপ উন্নতি হয়েছে। ২০১৯ সালের গ্লোবাল টেররিজম ইনডেক্সে (জিটিআই) বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৩১ নম্বরে। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে উগ্রবাদরোধে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গ্লোবাল টেররিজম ইনডেক্সে সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি থেকে ছয় ধাপ কমে বাংলাদেশ ৩১ নম্বরে এসেছে। এ সময় উগ্রবাদ বা জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় বাংলাদেশের মিডিয়াকে সতর্কভাবে সংবাদ পরিবেশনের আহবান জানান তিনি।
প্রতি বছর সিডনিভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস (আইইপি) দ্বারা প্রকাশিত প্রতিবেদন হলো গ্লোবাল টেররিজম ইনডেক্স। এটি ২০০০ সাল থেকে সন্ত্রাসবাদের মূল বৈশ্বিক প্রবণতা এবং নিদর্শনগুলোর বিস্তৃত সংক্ষিপ্তসার সরবরাহ করে।গত বছরের নভেম্বরে আইইপি বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক-২০১৯ প্রকাশিত হয়। ২৩টি গুণগত ও পরিমাণগত নির্দেশকের ভিত্তিতে বিশ্বের ১৬৩টি দেশের পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি হয়েছে বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক-২০১৯। এসব দেশের জনসংখ্যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৯৯ দশমিক ৭ শতাংশ বলে বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অবস্থান ছয় ধাপ নেমে ৩১তম হয়েছে। স্কোর ৫.২০৮। অর্থাৎ এ দেশে সন্ত্রাসবাদের প্রভাব মাঝারি মাত্রার। ২০১৮ সালের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ২৫তম। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ ছিল ২১তম অবস্থানে। অর্থাৎ সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এবার বাংলাদেশের অগ্রগতি বেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ায় মালদ্বীপ ছাড়া বাকি সাত দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে নেপাল (বৈশ্বিক তালিকায় ৩৪তম), শ্রীলঙ্কা (৫৫তম) ও ভুটান (১৩৭তম)। এই অঞ্চলে আফগানিস্তান বাদে বাকি ছয় দেশ ২০১৮ সালে সন্ত্রাসবাদ পরিস্থিতিতে উন্নতি করেছে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন
