সরকার চলতি বোরো মৌসুমে ১৮ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরমধ্যে ৭৫ হাজার মেট্রিক টন গম, ৬ লাখ মেট্রিক টন ধান, ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল এবং দেড় লাখ মেট্রিক টন বোরো আতপ চাল কিনবে। এর মধ্যে সরকার মাঠ পর্যায়ে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ৬ লাখ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করবে। ইতিমধ্যে গম, চাল ও ধানের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এই খাদ্যশস্য ক্রয় করবে সরকার।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চলতি বোরো মৌসুমে খাদ্য অধিদপ্তর মাঠ পর্যায় থেকে ২৮ টাকা কেজি দরে গম, ২৬ টাকা কেজি দরে ৬ লাখ মেট্রিক টন ধান, ৩০ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল এবং ৩৫ টাকা কেজি দরে ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিকটন বোরো আতপ চাল কিনবে।
এসব ফসল কেনার জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় যে সময়সীমা নির্ধারণ করেছে সে অনুযায়ী আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ৭৫ হাজার মেট্রিক টন গম, ২৬ এপ্রিল থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ৬ লাখ মেট্রিক টন বোরো ধান, ৭ মে থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১০ লাখ মেট্রিক টন বোরো সিদ্ধ চাল এবং এবং একই সময়ে দেড় লাখ মেট্রিক টন বোরো আতপ চাল সংগ্রহ করবে খাদ্য বিভাগ।
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ আজ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে যেসব এলাকায় বোরো ধান চাষ হয়েছে বলে নির্ধারণ করে দেবে সেইসব এলাকার কৃষকদের কাছ থেকে লটারির মাধ্যমে খাদ্য অধিদপ্তর সরাসরি ধান কিনবে।
তিনি বলেন, কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার গত আমন মৌসুম থেকে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে লটারির মাধ্যমে ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার বোরো মৌসুমে সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ৬ লাখ মেট্রিক টন ধান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর বোরো মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান এর পূর্বে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিটের বৈঠকে ধান চাল ক্রয় ও এর মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে খাদ্যমন্ত্রী এসব তথ্য জানিয়ে দেন। কিন্তু এবার করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ সারাদেশে সাধারণ ছুটি থাকায় খাদ্য মন্ত্রণালয় নিজেদের ওয়েবসাইটে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বোরো মৌসুমের ধান চাল ক্রয়ের তথ্যটি জানিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা