২৭ এপ্রিল, ২০২০ ২১:০৩

গণস্বাস্থ্যের করোনা শনাক্তকরণ কিট ব্যবহার উপযোগিতা যাচাইয়ের আহ্বান ওয়ার্কার্স পার্টির

নিজস্ব প্রতিবেদক

গণস্বাস্থ্যের করোনা শনাক্তকরণ কিট ব্যবহার উপযোগিতা যাচাইয়ের আহ্বান ওয়ার্কার্স পার্টির

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কর্তৃক উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তকরণ কিট ব্যবহার উপযোগিতা যাচাই করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। একইসঙ্গে পোশাক মালিকরা সীমিত পরিসরে সংগনিরোধ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধুমাত্র ঢাকা ও কারখানার আশেপাশে অবস্থানরত শ্রমিকদের নিয়ে কালখানা চালানোর যে বিজ্ঞাপন জারি করেছিলেন তার সঙ্গে বাস্তবতার কোন মিল নেই বলে বিবৃতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
 
সোমবার পার্টির পলিট ব্যুরোর পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানোর পাশাপাশি ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।

বিবৃতিতে গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র কর্তৃক উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তকরণ কিট ব্যবহার ও সরবরাহ নিয়ে ডা. জাফরুল্লার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সাথে যে জটিলতা সৃষ্ট হয়েছে তা নিরসনে সরকার ও গণস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ উভয়কে এর বৈধ বৈজ্ঞানিক বিধি রক্ষার্থে যে ৭টি প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট, তাদের যে কোন একটির মাধ্যমে ‘পিয়ার রিভিউ’ পরীক্ষার ব্যবস্থা করার আহ্বান জানানো হয়। এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বৈজ্ঞানিক প্যানেলের সহযোগিতা নেয়া যেতে পারে বলে বিবৃতি উল্লেখ করা হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তাদের প্রত্যায়নে উল্লেখিত কিটটির উপযোগিতা যাচাই প্রমাণিত হলে সরকার তা জনস্বার্থে প্রয়োগের অনুমতি দিতে পারে। যে কোন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার মানুষের ব্যবহার উপযোগী করার জন্য বৈজ্ঞানিক সাবধানতা যেমন কাম্য, তেমনি কোন ধরনের  জটিলতায় এই সংকটের সময় তার বৈজ্ঞানিক সম্ভাবনা বন্ধ হোক এটা কাম্য নয়।

বিবৃতিতে গত ২৬ এপ্রিল রাতে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পার্টির পলিট ব্যুরোর সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক এ বিবৃতি দেয়া হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি। সভায় পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা এমপি দেশের কভিড-১৯ সৃষ্ট পরিস্থিতির ওপর রিপোর্ট তুলে ধরেন। আলোচনায় অংশ নেন আনিসুর রহমান মল্লিক, সুশান্ত দাস, মাহমুদুল হাসান মানিক, নুর আহমেদ বকুল, কামরূল আহসান, আমিনুল ইসলাম গোলাপ, অ্যাডভোকেট মোস্তফা লুৎফুল্লা এমপি, হাজি বশিরুল আলম, জরুল ইসলাম হাক্কানী, নজরুল হক নীলু প্রমুখ।  

ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর বিবৃতিতে ‘বিজিএমইএ’ কর্তৃক গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে যেখানে বলা হলো কারখানার আশপাশে অবস্থানরত শ্রমিক ছাড়া দূর-দূরান্তে অবস্থিত শ্রমিকদের কাজে যোগ দেয়ার প্রয়োজন নেই। অথচ কারখানার ব্যবস্থাপনা  কর্তৃপক্ষ মোবাইলসহ নানা মাধ্যমে শ্রমিকদের কাজে যোগদানে নির্দেশ এবং কাজে যোগ দিতে ব্যর্থ হলে মুজুরি কর্তন ও ছাঁটাইয়ের ভয় দেখিয়েছেন।

ফলে গত ৪ এপ্রিলের ন্যায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের কাজে যোগদানের উৎকন্ঠা থেকে যে পরিবেশ সৃষ্ট হয়েছে তাতে সংগনিরোধ বিধি ভঙ্গ হওয়ার উপক্রম এবং করোনা সংক্রমণ বিস্তার হয়ে জনস্বাস্থ্যকে ঝুঁকিতে ফেলবে।

বিবৃতিতে, চলমান সরকারি ছুটিতে কোন কারখানা লে-অফ, শ্রমিক ছাঁটাই না করার ঘোষণা নজরদারির আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি শ্রমিকদের মজুরি, বেতন দ্রুত পরিশোধ করে উদ্ভূত  শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে সংশ্লিষ্ট কারখানা মালিক ও কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর