প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পানের গতিমুখ বর্তমানে পুরোপুরি পশ্চিমবঙ্গের দীঘা ও সাগরদ্বীপ বরাবর। এই দুই অঞ্চলের ৯০ কিলোমিটারের মধ্যে চলে এসেছে। আর বাংলাদেশ উপকূল থেকে রয়েছে ২৫০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিমে।
আর দীঘা ও সাগরদ্বীপ থেকে রয়েছে দক্ষিণ-দক্ষিণ পুবে। এক্ষেত্রে যে কোনো সময় ঝড়টির মুখ উঠে আসবে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে। এক্ষেত্রে ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর এক বুলেটিনে জানিয়েছে, বর্তমানে আম্পানের কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ রয়েছে ১৬০ থেকে ১৭০ কিলোমিটার, যা ১৯০ পর্যন্ত বাড়ছে।
এদিকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবের কারণে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর সমুদ্রবন্দর ও উপকূলীয় এলাকার পর এবার দেশের অভ্যন্তরেও মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে। চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে আগের ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এর আগে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়।
মহাবিপদ সংকেতকে ছোট করে না দেখে আশ্রয়কেন্দ্রে যান বলে মন্তব্য করেছেন আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, অযথা মহাবিপদ সংকেত দেয়া হয়নি, ডিমান্ড করেই বিপদ সংকেত দেয়া হয়েছে। তাই ঘূর্ণিঝড়ের এই বিপদকে ছোট করে দেখে বিপদ না বাড়ানোর অনুরোধ করছি। বুধবার আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গোপসাগরের ৪শ থেকে ৫শ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থানরত সুপার সাইক্লোনটি উপকূলে পৌঁছাবে আজ বিকেলে। উপকূলীয় এলাকার মানুষ বার বার ফোন করে ঘূর্ণিঝড়টি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছে। সাইক্লোন আম্পান পুরোপুরি আইলার কপি। তাই এর শক্তি নিয়ে সন্দেহ না রেখে এখনই উপকূলবাসীর আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়া উচিত।
শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রোদ দেখে বিপদ কম মনে করার সুযোগ নেই, ঝড়টি সব মেঘ নিজের কাছে টেনে নেয়ায় এমনটা হচ্ছে। এর প্রভাব থাকবে ২২-২৩ তারিখ পর্যন্ত।’ এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুপার সাইক্লোন ‘আম্পান’ এর কারণে সৃষ্ট দুর্যোগ পরিস্থিতি সব সময় মনিটরিং করছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তার প্রেস ইউং।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক