ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডবে খুলনার উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন স্থানে পাউবো বেড়িবাঁধ ভেঙে মাছের ঘের ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। ঝড়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি। কয়রা, দাকোপ, বটিয়াঘাটা ও পাইকগাছায় হাজার হাজার গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ভেঙ্গে পড়েছে বিদ্যুতের খুটি। বৃহস্পতিবার সকালে উপকূলীয় এলাকার বিধ্বস্ত এ চিত্র দেখা গেছে।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় প্রবল গতিতে খুলনায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফান আঘাত হানে। ঝড়ের তাণ্ডব চলে সারারাত। সুতারখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাছুম আলী ফকির জানান, আম্ফানের প্রভাবে সুতারখালী, কালাবগী ও নলিয়ানের নিম্নাঞ্চলসহ ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ৪-৫ ফুট পানির উচ্চতায় এখানকার বেড়িবাঁধের বাইরের অংশে ঝুলন্তপাড়া নামক এলাকায় ৫ শতাধিক বাড়িঘর, মসজিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন এখানকার মানুষ।
খুলনার কয়রায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ৬টি পয়েন্ট দিয়ে পানি লোকালয়ে ঢুকছে। এসব স্থান হচ্ছে- দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের ছোট আংটিহারা, গোলখালি, চোরামুখা খেয়াঘাট, উত্তর বেদকাশি গাজিপাড়া, কয়রা সদর ইউনিয়নে হরিণখোলা ও উত্তর বেদকাশি কাশির হাটখোলা এলাকা। এছাড়া বেড়িবাঁধ ভেঙে বটিয়াঘাটার সুরখালী বারোভূইয়া গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
কয়রার ইউপি চেয়ারম্যান জিএম শামসুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তর বেদকাশী দক্ষিণ বেদকাশী আংটিহারা ও গোলখালি এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। অসংখ্য ঘরবাড়ি ও গাছপালা ভেঙে পড়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় থামার পর আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজিজুল হক জোয়ার্দ্দার বলেন, খুলনায় ২ লাখ ৭ হাজার মানুষ ৮১৪টি সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নেন। ঘূর্ণিঝড়ে এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে অনেক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। অনেক স্থানে ভেঙেছে বেড়িবাঁধ।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ