চিকিৎসার নামে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ মাথায় নিয়ে পলাতক রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার কমিশনের এক সভায় সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে তিন সদস্যেরে একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। দুদক পরিচালক প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য এ তথ্য নিশ্চিত তরেছেন।
অনুসন্ধান টিমের অপর দুই সদস্য হলেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. নেয়ামুল হাসান গাজী ও শেখ মো. গোলাম মাওলা।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, রিজেন্ট হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে মাইক্রোক্রেডিট ও এমএলএম ব্যবসার নামে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অংকের টাকা সংগ্রহ করে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে বহুমাত্রিক জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে পরস্পর যোগসাজশে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, আয়কর ফাঁকি, ভুয়া নাম ও পরিচয়ে ব্যাংক ঋণ নিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দুদক সূত্র মতে, অনুসন্ধান শুরুর আগে কমিশনের সংশ্লিষ্ট অণুবিভাগগুলো বিভিন্ন ব্যক্তি, গণমাধ্যম, ভার্চুয়াল মাধ্যমসহ বিভিন্ন উৎস থেকে মো. সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো সংগ্রহ করেছে। দুদকের দৈনিক ও সাম্প্রতিক অভিযোগ সেল এসব তথ্য-উপাত্ত সংবলিত অভিযোগ কমিশনে উপস্থাপন করলে কমিশন অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। কমিশনের বিশেষ তদন্ত অণুবিভাগের মাধ্যমে এই অভিযোগের অনুসন্ধান করা হবে।
রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে অনিয়ম এবং প্রতারণার অভিযোগে ৬ জুলাই র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) একটি দল উত্তরায় অবস্থিত হাসপাতালের একটি শাখায় অভিযান চালায়। সেখানে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা ছাড়াই ভুয়া সনদ দেওয়াসহ নানা ধরনের অনিয়মের প্রমাণ পায় র্যাব।
পরে অনিয়মের অভিযোগে রিজেন্টের দুটি হাসপাতাল সিলগালা করে র্যাব। এ ঘটনায় র্যাবের মামলায় হাসপাতালের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী গ্রেফতার হলেও সাহেদ এখনও পলাতক। তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন