পাবনা-৪, ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে ইতিবাচক বিএনপি। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগামী শনিবারের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
মঙ্গলবার দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিকেল ৫ টা থেকে আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা এই বৈঠকে লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সভাপতিত্ব করেন।
ভার্চুয়াল এই বৈঠকে নিজ নিজ বাসা থেকে অংশ নেন-মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী পাবনা-৪ আসনে ভোট হবে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর। অন্য দুটি আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে ১৭ অক্টোবর।
স্থায়ী কমিটির বৈঠক সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সেখানে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির বিষয়টি বেশ গুরুত্ব পায়। কোনো কোনো নেতা করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে নেতাকর্মীদের সংক্রমণের দিকে ফেলা ঠিক হবে না বলে মত দেন। সেক্ষেত্রে নির্বাচন পেছানের জন্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেয়ার কথা বলেন তারা।
সূত্র জানায়, বৈঠকে একাধিক নেতা আরও বলেন, এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে গিয়ে লাভ নেই। আওয়ামী লীগ যাকে মনোনয়ন দেয়, সেই নিশ্চিত এমপি। এখানের জনগণের মতামতের কোনো প্রতিফলন অতীতে না হওয়ায় ভোটারও ভোটের দিন কেন্দ্রে যায় না। অবশ্য বৈঠকে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের মুখোশ দেশী-বিদেশেদের কাছে আরও উন্মোচন করতে রাজধানীর প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত ঢাকা-৫ আসনের কথা বিবেচনায় নিয়ে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে অধিকাংশ নেতা মত দেন। এই নিয়ে আগামী শনিবার স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হবে বলে দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এক নেতা জানান, তাদের প্রার্থীও ঠিক করা আছে। অর্থাৎ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল, এবারও সংশ্লিষ্ট আসনের উপনির্বাচনে তাদেরই মনোনয়ন দেয়া হবে-এটা প্রায় নিশ্চিত।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন