২৫ নভেম্বর, ২০২০ ১৮:২১

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচিকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার প্রস্তাব

অনলাইন ডেস্ক

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচিকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার প্রস্তাব

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) প্রতিষ্ঠানটিকে ২০২১ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার প্রস্তাব করেছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। আজ বুধবার (২৫ নভেম্বর) কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে ১২তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে কমিটি এ প্রস্তাব করে। বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও কমিটির সদস্য ডা. মো. এনামুর রহমান, কমিটির সদস্য মো. আফতাব উদ্দিন সরকার, মীর মোস্তাক আহমেদ রবি ও জুয়েল আরেং অংশ নেন।  

১৯৭২ সাল থেকে সেবা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে সিপিপি। তাদের অবদানে ঘূর্ণিঝড়ে মানুষের মৃত্যু ১০ লাখ থেকে ‘সিঙ্গেল ডিজিটে’ আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এই অবদানের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে ২০২১ সালের স্বাধীনতা পুরস্কারে মনোনয়নের জন্য প্রস্তাব করেছে কমিটি।

বৈঠকে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) প্রতিষ্ঠানটি ১৯৭২ সাল থেকে মানুষের সেবা দিয়ে আসছে। তাদের অবদানে ঘূর্ণিঝড়ে মানুষের মৃত্যু ১০ লাখ থেকে সিঙ্গেল ডিজিটে আনা সম্ভব হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানটিকে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২১ মনোনয়নের জন্য প্রস্তাব করছে কমিটি।

সিপিপি বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির একটি যৌথ কর্মসূচি। ১৯৭০ সালের নভেম্বর মাসের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের পর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অনুরোধে তৎকালীন লিগ অব রেডক্রস বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ বাংলাদেশের উপকূলীয় জনসাধারণের জান-মাল রক্ষার্থে ১৯৭২ সালে সিপিপি প্রতিষ্ঠা করে। এক বছর যেতে না যেতেই লিগ অব রেডক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ ১৯৭৩ সালের ১ লা জুলাই থেকে মাঠ পর্যায়ে কর্মসূচি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। উপকূলীয় জনসাধারণ এবং কর্মসূচির গুরুত্ব বিবেচনা করে বাংলাদেশ সরকার কর্মসূচিটি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্মসূচিটির অনুমোদন দেন। তখন থেকে এটি বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির একটি যৌথ কর্মসূচি হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে।

মুজিব জন্মশতবর্ষে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসূচির আওতায় নগদ টাকা বরাদ্দের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য 
বৈঠকে মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানায় কমিটি।

বৈঠকে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে বন্যাপ্রবণ ও নদীভাঙন এলাকার কাজ করার সুপারিশ করে কমিটি এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ক চিঠি পাঠাতে বলা হয়।

বৈঠকে সামাজিক দুর্যোগ অর্থাৎ মাদকাসক্ত, নেশাগ্রস্ত, মাদক ব্যবসায়ী, সামাজিক অবক্ষয়, ইভটিজিং ইত্যাদি মোকাবিলা করার লক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচিতে মন্ত্রণালয়কে ওয়ার্কশপের আয়োজন করে অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে ও দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। একই সঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এ কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তি করার বিষয়ে বলা হয়।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

 

 

 

 


 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর