ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে করা মেডিকেল কলেজ ও মেডিকেল ডিগ্রি সংক্রান্ত দুই আইন বাতিল করতে সংসদে পৃথক বিল উত্থাপন করা হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ১৯৬১ সালে প্রণীত ‘মেডিকেল কলেজেস (গভর্নিং বডিস) অর্ডিন্যান্স’ বাতিলের জন্য ‘মেডিকেল কলেজ (গভর্নিং বডিস) (রিপিল) বিল-২০২১’ এবং ১৯১৬ সালে প্রণীত ‘মেডিকেল ডিগ্রিস অ্যাক্ট’ বাতিল করতে ‘মেডিকেল ডিগ্রিস (রিপিল) বিল-২০২১’ সংসদে উত্থাপন করেন।
পরে বিল দুটি সাতদিন পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
মেডিকেল কলেজ (গভর্নিং বডিস) (রিপিল) বিল-২০২১’ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৬১ সালে “মেডিকেল কলেজ (গভর্নিং বডিস) অর্ডিন্যান্স” প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু কার্যত অধ্যাদেশটির তেমন কোনো প্রয়োগ ছিল না। ১৯৮৩ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেশে মেডিকেল কলেজগুলো সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য একাডেমিক কাউন্সিল ফর মেডিকেল কলেজ অব বাংলাদেশ এবং ডিসিপ্লিনারি কমিটি ফর দ্যা মেডিকেল কলেজ অব বাংলাদেশ গঠন করা হয়। ওই সময় থেকে এখন পর্যন্ত একাডেমিক কাউন্সিল ও ডিসিপ্লিনারি কমিটি কমিটির মাধ্যমেই সরকারি মেডিকেল কলেজ পরিচালিত হয়ে আসছে। এ ছাড়া বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো সংশ্লিষ্ট এফিলিয়েটিং বিশ্ববিদ্যালয় এবং ‘বেসরকারি মেডিকেল স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা-২০১১ (সংশোধিত)’ অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে। সুতরাং ১৯৬১ সালের মেডিকেল কলেজেস (গভর্নিং বডিস) অর্ডিন্যান্স এর কার্যকারিতা নেই।’
‘মেডিকেল ডিগ্রিস (রিপিল) বিল’ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘মেডিকেল ডিগ্রিস অ্যাক্ট একটি সংক্ষিপ্ত আইন, যার প্রতিটি ধারা “বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০”-এর এক বা একাধিক ধারায় সন্নিবেশিত আছে। এ আইনের লঙ্ঘন এবং সংঘটিত অপরাধের শাস্তি অপর্যাপ্ত, যা সময়োপযোগী নয়। পক্ষান্তরে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন একটি বিশদ বিস্তৃত আইন, যা প্রায়োগিক দিক থেকে অনেক বিস্তৃত ও সময়োপযোগী। কাজেই এ আইনটির কার্যকারিতা ও প্রায়োগিক ক্ষেত্রগুলো “বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন”-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিধায় আইনটি প্রত্যাহার করা আবশ্যক।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ