এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) যদি পুনর্গঠন না করা হয়। তাহলে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে এনসিপি নির্বাচনে অংশ নিবে না।’
নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সামনে দলের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
বর্তমান কমিশনকে পক্ষপাত দুষ্ট বলে অভিযোগ করে নাসীরুদ্দিন পাটওয়ারী বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) যদি পুনর্গঠন না করা হয়। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে এনসিপি নির্বাচনে অংশ নিবে না।’
নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন অবৈধ ও ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার প্রণীত ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন ২০২২’ অনুযায়ী গঠিত, যা সে সময় ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দল ও পক্ষ প্রত্যাখ্যান করেছিল। বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য যখন সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। আমরা সে সময়ে নির্বাচন কমিশন গঠনের বিদ্যমান আইনের বিরোধিতা করেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত কয়েকটি নির্বাচনে যারা ভোট ডাকাতি করেছে তারা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে। আমাদের এনসিপির দাবি নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে। কারণ আমরা দেখছি নির্বাচন কমিশন একটি নিদিষ্ট দলের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছে। এ নির্বাচন কমিশন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই ইসি পুনর্গঠন করে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন।
যারা গত ১৬ বছর মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল তাদের নির্বাচন কমিশনে রেখে কোনো ভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। যারা স্বৈরাচারের সময় ভোট ডাকাতিতে সহযোগিতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।’
বিএনপির উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, ‘আপনারা ৩১ দফা দিয়েছিলেন। আপনারা বলেছিলেন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠন করবেন। কিন্তু আপনারা যখন প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিজের দলের লোক পেয়ে গেলেন তখন আর আপনারা সংস্কারের কথা ভুলে গেলেন। নির্বাচন কমিশন এখন বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেছে।’
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত