মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিশাল অঙ্কের আর্থিক বিনিয়োগে আমেরিকার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় এক যুগান্তকারী পরিবর্তনের ঘোষণা করেছেন। ‘গোল্ডেন ডোম’ নামের এই অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চার বছরের মধ্যেই আমেরিকার আকাশকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে রক্ষা করবে বলে তিনি দাবি করেছেন।
হোয়াইট হাউস থেকে ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমেরিকার কোষাগার থেকে প্রায় ১৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার ব্যয় হবে। প্রাথমিকভাবে, এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরিতে আড়াই হাজার কোটি ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে। ট্রাম্পের অনুমান, ২০২৯ সালের মধ্যেই এই নতুন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আমেরিকার হাতে চলে আসবে।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় থেকেই ট্রাম্প বারবার একটি অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ঢাল তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, আমি আমেরিকাবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম একটি অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ঢাল তৈরি করব। আজ সেই প্রতিশ্রুতি সত্যি হতে চলেছে। গোল্ডেন ডোম তৈরি হলে, তা আমেরিকার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হবে। এই নতুন ব্যবস্থা বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে ছোড়া ক্রুজ, ব্যালেস্টিক, এবং হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম হবে বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
আমেরিকার এই প্রচেষ্টার সঙ্গে কানাডাও যুক্ত হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। যদিও কানাডার তরফে এখনো কোনো সরকারি ঘোষণা আসেনি। মার্কিন আইনসভার বাজেট অফিস অবশ্য মনে করছে, ট্রাম্প ঘোষিত খরচের থেকেও এই প্রকল্পের মোট ব্যয় অনেক বেশি হতে পারে।
প্রেসিডেন্ট পদে শপথগ্রহণের পর চলতি বছরের ৪ মার্চ মার্কিন আইনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় ট্রাম্প প্রথমবার ‘গোল্ডেন ডোম’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করেন। তিনি ইসরায়েলের বিখ্যাত ‘আয়রন ডোম’ ব্যবস্থার সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন যে, গোল্ডেন ডোম ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার থেকেও অনেক বেশি উন্নত হবে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল