শিরোনাম
প্রকাশ: ২১:২৮, রবিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২১ আপডেট:

হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’

অনলাইন প্রতিবেদক
অনলাইন ভার্সন
হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’

হিন্দু সম্প্রদায়ের হাজার বছরের ঐক্য এবং ঐতিহ্যকে বিলীন করার অপচেষ্টা নিয়ে হিন্দুদের ঘরে ঘরে অশান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বেসরকারি সংস্থা ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’। এর কর্ণধার শাহীন আনাম এবং তার স্বামী ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের নেতৃত্বে এ চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।

২২ আগস্ট সকাল ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে জোটের নেতারা এসব কথা বলেন। হিন্দু ধর্মীয় আইন পরিবর্তন প্রচেষ্টার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

হিন্দু মহাজোটের নেতারা বলেন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনসহ কয়েকটি এনজিও হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসা সুসংহত হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে অশান্তির বীজ বপন করছে। ১০ হাজার বছরের পুরনো এই হিন্দু পরিবার ব্যবস্থা ধ্বংস করে বাংলাদেশকে হিন্দুশূন্য করার পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে চক্রটি। তাদের দুরভিসন্ধি হাসিলে হিন্দু আইন সংস্কারের জন্য আইন কমিশনে একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছে। যার নেতৃত্বে আছেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক শাহীন আনাম ও তার স্বামী মাহফুজ আনাম সিন্ডিকেট।
নেতারা আরও বলেন, আইন পরিবর্তনের নামে হিন্দু মা-বোনদের বলির পাঁঠা বানাচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এর নেতৃত্বে রয়েছেন মাহফুজ আনাম, শাহীন আনাম এবং ‘বাঁচতে শেখা’র পরিচালক এঞ্জেলা গোমেজ। তারা প্রতিনিয়ত হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। আমরা আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। তিনিও বলেছেন যেখানে হিন্দুরাই চায় না আইন পরিবর্তন হোক, সেখানে অন্যদের দাবির যৌক্তিকতা নেই।

তারা বলেন, সম্পদ নিয়ে তারা সাধারণ মানুষকে ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। তারা যে বলেন হিন্দু ধর্মে নারীদেরকে সম্পদ দেওয়া হয় না, এ কথা সত্য নয়। তাদের এসব কথা শুনে অনেকেই বিভ্রান্ত হচ্ছেন। আমরা এসব বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান জানাই। তারা সরকার এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীদেরকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। মূলত হিন্দু আইনে সম্পত্তির নির্দিষ্ট কোনো মালিক নেই। পরিবারে যখন যিনি দায়িত্বে থাকবেন, তিনিই মালিক।  হিন্দু পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজন করে ব্যক্তি কেন্দ্রীক সম্পত্তি বন্টন, বিবাহ বিচ্ছেদ, হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক ও শাস্তির বিধান, দত্তক, ভরণ-পোষণসহ বিভিন্ন বিষয়ে হিন্দু ধর্ম শাস্ত্রীয় পবিত্র বিধি-বিধান পরিবর্তনের চক্রান্ত করছে। আর এটা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিভেদ ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে হিন্দু সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের’ পরিচালক শাহীন আনাম ও ‘বাঁচতে শেখা’র পরিচালক এঞ্জেলা গোমেজের নেতৃত্বে বিভিন্ন স্থানে সভা-সেমিনার করে হিন্দু বিধিবিধান সম্পর্কে মিথ্যা ও বিদ্বেষমূলক তথ্য প্রচার করছে। সারাদেশের হিন্দু সমাজের মধ্যে একটা অস্থিরতা সৃষ্টি পাঁয়তারা চালাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে হিন্দু মহাজোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট বিধান বিহারী গোস্বামী বলেন, সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশে হিন্দু আইন নিয়ে বড় চক্রান্ত চলছে। এই চক্রান্ত সুদূরপ্রসারী। শোকের মাসে আমাদেরকে হিন্দু আইন নিয়ে প্রতিবাদী বক্তব্য দিতে হবে আমরা প্রত্যাশা করিনি। হিন্দু আইন নিয়ে কেউ কেউ পাঁয়তারা করছে। যারা এই আইনের সংস্কার চলছে তাদের মতলব কি সেটি আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। এই আইনটির পরিবর্তন সরকারও চাচ্ছে না। অথচ কতিপয় এনজিও চাচ্ছে তাদের প্রয়োজনে।

তিনি আরও বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের আরও সোচ্চার এবং ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা এই বিষয়গুলো জানাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যেতে চাই। আমাদের বিশ্বাস, আমাদের সুরক্ষার দায়িত্ব বঙ্গবন্ধুকন্যার। সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্যে আমাদের এই জাগরণ সীমাবদ্ধ নয়, হিন্দু সংগঠনগুলোর সমস্ত নেতৃত্বকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ করব। মাহফুজ আনামদের ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করবো।

বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট লাকী বাছাড় বলেন, শাহীন আনামসহ এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে হিন্দুদের আইন পরিবর্তনের নামে অশান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। হিন্দু মা-বোনেরা চায় না এ আইন পরিবর্তন হোক। যেখানে আমরাই চাই না, সেখানে তাদের কেন এত মাথাব্যথা। এটি মূলত হিন্দুদের ঘরে ঘরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র। মাহফুজ আনাম, শাহীন আনাম ও গোমেজের নেতৃত্বে চক্রটি ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে।

বিস্ময় প্রকাশ করে লাকী বাছাড় বলেন, আমাদের আইন পরিবর্তন করা হবে, অথচ আমরাই জানি না। তাহলে কার স্বার্থে এই চক্রান্ত। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন বিদেশ থেকে তহবিল এনে এই ষড়যন্ত্র করছে। অথচ তারা চাইলে অসহায় মানুষের সেবা করতে পারে। তা না করে তারা আমাদের মা-বোনদের বলির পাঁঠা বানাচ্ছে। আসলে হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে তাদের কোনো জ্ঞান নেই।

হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতির সভাপতি অধ্যাপক হীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, মাহফুজ আনাম এবং শাহীন আনাম হিন্দু ধর্ম আইনের সংস্কার চেয়ে যে প্রচারণা চালাচ্ছেন সেটি সুস্পষ্ট ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত আন্তর্জাতিক কয়েকটি এনজিও। তারা কেন এ আইনের সংস্কার চায় নিজেরাও বোঝে না। হিন্দু আইন সংস্কার যাদের জন্য প্রয়োজন তারা এ ব্যাপারে কোনো দাবি তোলেনি। শাহীন আনাম না বুঝে হিন্দু আইনের বিরুদ্ধে যেসব অনৈতিক প্রচারণা চালাচ্ছেন, অর্থ ব্যয় করছেন এসব অর্থের উৎস কোথায়, তাও বেরিয়ে আসা উচিত।

তিনি আরও বলেন, সনাতন আইনের কোনো সংস্কার অথবা পরিবর্তন প্রয়োজন নেই। আজকে যারা এই আইনের সংস্কার চায় তারা হিন্দু ধর্মকে অবমাননা করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সোচ্চার হতে হবে। হিন্দু ধর্মকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য তারা এই পাঁয়তারা করছেন। তাদের আচরণে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা অত্যন্ত ব্যথিত। শাহীন আনাম এনজিওর এজেন্ডা বাস্তবায়নে মাহফুজ আনাম সম্পাদিত ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারকে কাজে লাগিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

প্রণব মঠ ঢাকার অধ্যক্ষ স্বামী সঙ্গীতানন্দ মহারাজ বলেন, আইন সংস্কারের নামে মন্দির ভেঙে ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ধর্মীয় উগ্রবাদ ছড়ানোর ষড়যন্ত্রে নেমেছেন মাহফুজ আনাম ও শাহীন আনাম। এর মাধ্যমে তারা হিন্দুদের নিরাপত্তা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চান। মাহফুজ আনামরা সরকার ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ফাটল ধরাতে তৎপর। তারা চায় হিন্দু সম্প্রদায়কে সরকারের প্রতিপক্ষ বানাতে। এজন্য তারা আইন সংস্কারের নামে চক্রান্তে নেমেছে। কিন্তু বাস্তবতা হল হাজার বছর ধরে নিজস্ব নিয়মে চলে আসা সনাতন ধর্মে অন্য ধর্মের কেউ হাত দেওয়ার অধিকার নেই।

তিনি বলেন, প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্ধে গিয়ে আমাদের সনাতন ধর্মে হাত দেওয়ার অধিকার মাহফুজ আনামের নেই। মাহফুজ আনামরা আমাদের ধর্মে নারীর অধিকারের কথা বললেও বাস্তবতা হল এ ধর্মে কারো অধিকার কখনো খর্ব হয়নি। তারা সনাতন ধর্মের আইনের অপব্যাখ্যা করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন। এদেশে মুসলমান-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সু-সম্পর্ক বজায় রেখে চলছে। এটা তাদের সহ্য হচ্ছে না। তাই মাহফুজ আনামরা চক্রান্তে নেমেছেন সে সম্পর্কে যাতে নষ্ট হয়ে যায়।

ইসকনের ফুড ফর লাইফ-এর পরিচালক রুপানুগ গৌরদাস ব্রহ্মচারী বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ভালো আছে। আইন পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। হিন্দুরা ভালো আছি। আমাদের হিন্দু পরিবারগুলোতে ভাই-বোনের সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ়। এদের মধ্যে কোন বিভেদ নেই। কোনো আক্ষেপ নেই। ফলে হিন্দু আইন পরিবর্তনের নামে মাহফুজ আনামরা যে ষড়যন্ত্রে মেতেছেন, তা সুস্পষ্ট। আমরা হিন্দু আইন সংস্কারের অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। 

মাহফুজ আনামকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমরা আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মান্ধ করার জন্য নানা সময়ে ষড়যন্ত্র হয়েছে। আজকে যে হিন্দু আইন সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সেটা তারই একটি প্রক্রিয়া। হিন্দু আইন নিয়ে ষড়যন্ত্রকারী মাহফুজ আনাম ও তার স্ত্রী শাহীন আনাম যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তা প্রত্যাহার না করলে হিন্দু সম্প্রদায়ের মা-বোনেরা ঝাড়ু হাতে নিয়ে ডেইলি স্টার অফিস ঘেরাও করবে। অবিলম্বে হিন্দু আইন সংশোধনের প্রস্তাব প্রত্যাহার না হলে জোরদার আন্দোলন শুরু হবে।

বৈদিক কৃষ্টি সংরক্ষণ প্রক্রিয়ার প্রধান আচার্য রবীন্দ্রনাথ দেবনাথ প্রশ্ন করে বলেন, যারা হিন্দু আইন পরিবর্তন করতে চান তারা কারা। শাহীন আনাম ও মাহফুজ আনাম গংরা আমাদের ধর্ম সংস্কার করতে চেয়ে প্রকারান্তরে সংবিধান লংঘন করেছেন। এটি অত্যন্ত  গুরুতর অপরাধ। সংবিধান লংঘন ক্ষমার অযোগ্য। সুতরাং তাদেরকে কোনভাবেই ক্ষমা করা যাবে না। আমরা মাহফুজ আনামদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে যারা হিন্দু আইন পরিবর্তন করতে চান, তারা কেন আইন পরিবর্তন করতে চান? তারা কি আমাদেরকে বাঁচাতে চান না কি আমাদেরকে মেরে ফেলতে চান? আসলে হাজার বছরের সনাতন ধর্ম সংস্কার করে তারা আমাদেরকে মেরে ফেলতে চায়। মূলত আমাদের ধর্ম সংস্কারের মাধ্যমে তারা হিন্দু পরিবারের শান্তি ও দায়ভার বিলুপ্ত করে বিশৃঙ্খলা করতে চাচ্ছেন।

হিন্দু মহাজোটের বরিষ্ট সহ-সভাপতি প্রদীপ কুমার পাল বলেন, মাহফুজ আনামকে আপনারা জানেন। এক এগারোর সময় শেখ হাসিনা বাদ খালেদা বাদ, তারা নিজেরা কর্তৃত্ব করতে চান। মতিউর রহমান, মাহফুজ আনাম সব সময় দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থেকেছেন। এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে। এরা হিন্দুধর্ম ধ্বংস করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।

বাংলাদেশ ব্রাহ্মণ সংসদের সভাপতি কর্নেল (অব.) নিরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, হিন্দুধর্মে মত-পথ রয়েছে, তবে বেদ সার্বভৌম। এর সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার কোনো সুযোগ নেই। একতাকে ধ্বংস করবো না। অন্যায়ভাবে প্রচার করা হয় হিন্দুরা দ্বিধাবিভক্ত। না, আমরা একতাবদ্ধ। আমাদের মধ্যে কোনো অনৈক্য নেই। গুটিকয়েক এনজিও হিন্দু ধর্ম নিয়ে চক্রান্ত করছে। ওইসব এনজিও কর্মীর বিচার চাই। কোনভাবেই আইন পরিবর্তনযোগ্য নয়। আমরা বিব্রত, সরকারকে বিব্রত করছে, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আনন্দ করার কথা, সেখানে প্রতিবাদ করতে হচ্ছে। আমরা অবিলম্বে তাদের ষড়যন্ত্র বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী প্রতিভা বাগচী। তিনি বলেন, আইন পরিবর্তনের প্রস্তাব তোলার মধ্য দিয়ে মূলত চক্রটি আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়কে ক্ষেপিয়ে তোলার গোপন মিশনে মেতেছে। শাহীন আনাম সিন্ডিকেটের এই অপতৎপরতার কারণে সাধারণ হিন্দু সম্প্রদায় মনে করছে এই সরকার আমাদের ধর্মীয় বিধিবিধান ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। ফলে সরকারের প্রতি হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশ্বাস শুধু নষ্ট হচ্ছে না, বিদ্বেষও ছড়িয়ে পড়ছে। এইভাবে শাহীন আনামগং কৌশলে হিন্দু সম্প্রদায়কে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলার নীলনকশা বাস্তবায়নের পাঁয়তারা করছে। তারা আওয়ামী লীগ সরকার ও হিন্দু সম্প্রদায়কে মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ডেইলি স্টারে কল্পকাহিনি ছাপিয়ে মাহফুজ আনাম হিন্দু সমাজের বিরুদ্ধে গুজব ছড়াচ্ছে। দেশে অনেক ইস্যু থাকলেও হাজার বছর আগের মীমাংসিত ইস্যুকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। হিন্দু আইন সংস্কারের নামে বিভেদ সৃষ্টির কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু মানুষ এখন আর এতো বোকা নয়, অনেক সচেতন, তারা সহজেই চালাকি ধরে ফেলতে পারে। তারা দেশের বাইরে থেকে তহবিল এনে গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছে। চক্রটি হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ তৈরি করে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে চায়। তারা আসলে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ও বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে ধ্বংস করতে উঠেপড়ে লেগেছে। চক্রটির এসব হীন তৎপরতায় বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটসহ হিন্দু ধর্মালম্বীদের ২৩টি সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সারাদেশের প্রায় পৌনে দুই কোটি হিন্দু সমাজ চরম উদ্বিগ্ন।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, শাহীন আনাম এর আগে ২০১৭-১৮ সালে তার এক কর্মচারীকে দিয়ে হিন্দু ধর্মে তালাক প্রথা চালু করার জন্য রিট দায়ের করেন। তখন কোর্ট বিষয়টি শুনানিযোগ্য নয় বলে খারিজ করে দেয়। হিন্দু বিয়েতে বর ও বধূকে নানা বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ করতে হয়। এই বৈদিক মন্ত্র হল পৃথিবীর প্রাচীনতম গ্রন্থ ঋগ্বেদ থেকে সংকলিত। বিয়ের মন্ত্রগুলো কোন পুরুষের রচিত নয়; মন্ত্রদ্রষ্টা নারী ঋষি সূর্যার নিকট আবির্ভূত হয়েছিল। আর বিয়ের সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি স্ত্রী আচার দিয়ে মহিমামন্ডিত। যে বিধান হাজার হাজার বছর ধরে এই নারী ঋষির তৈরি এই বিবাহ ব্যবস্থা অবিকৃতভাবে চলমান থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবার ব্যবস্থা উপহার দিয়ে চলেছে। এই মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে দু’টি হৃদয়, দু’টি মন, দু’টি শরীর একসূত্রে গ্রথিত হয়। হিন্দু নারী পুরুষের জীবনে আসে অর্ধাঙ্গিনী হিসাবে; তাকে বিচ্ছিন্ন করা যায় না। হিন্দু কুমারী যখন বিয়ের পিড়িতে বসে তখন রাজরাণীর মুকুট পড়ে বসে। রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থার ফলে দুষ্ট মানুষেরা বিবাহের আনুষ্ঠানিকতা বাদ দিয়ে গোপনে ভুয়া রেজিস্ট্রেশন করে সহজ সরল নারীদের প্রতারিত করবে। হাজার হাজার বছরের ঐতিহ্য নষ্ট হবে; ধর্মীয় বিশ্বাস নষ্ট হবে। অতএব তালাক বা বিবাহ বিচ্ছেদ যে নামেই হোক না কেন কোনটাই হিন্দু সমাজ মেনে নেবে না।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, হিন্দু আইনে পিতা বা কোন পুরুষের সম্পত্তি নেই; সম্পত্তি পরিবারের। হিন্দু আইনে স্পষ্ট ভাবে তো আছেই, সংশয় নিরসনের জন্য উচ্চ আদালতের বহু ডিসিশন আছে। হিন্দু আইনে সকল সম্পত্তির একক মালিক যৌথ পরিবার। যৌথ এবং অবিভক্ত পরিবার হিন্দু সমাজের সাধারণ নীতি। সকল শ্রেণির হিন্দু পরিবার সাধারণভাবে যৌথ। এটি শুধু সম্পত্তির ক্ষেত্রে নয়; বরং আহার এবং উপাসনার ক্ষেত্রেও।

অবিলম্বে এ প্রস্তাব থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে হিন্দু নেতারা চার দফা দাবি তুলে ধরেন। এগুলো হলো- হিন্দু আইনের কোন ধরনের সংস্কার, পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা পরিমার্জন করা হবে না, হিন্দু আইনে কোন ধরনের হাত দেওয়া হবে না- মর্মে আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে সরকারকে স্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে। অবিলম্বে শাহীন আনামসহ যে সকল এনজিও হিন্দু পরিবার, সমাজ ও ধর্ম বিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে হিন্দু সমাজ ও পরিবারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। শাহীন আনাম গংদের হিন্দু সম্প্রদায়ের নিকট শর্তহীন ক্ষমা চাইতে হবে। আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে সরকার সুস্পষ্ট ঘোষণা দিতে ব্যর্থ হলে সারাদেশে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে। এতেও কাজ না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক, সনাতন ল’ ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শঙ্কর দাস, বৈদিক সমাজ বাংলাদেশের স্বামী চিদানন্দ সরস্বতী, বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাজন মিশ্র, বাংলাদেশ হিন্দু লীগের সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর সরকার, শ্রীগুরু সংঘের সাধারণ সম্পাদক মনঞ্জয় কৃষ্ণ দত্ত, ভক্ত সংঘের সাধারণ সম্পাদক অনিল পাল, বাংলাদেশ মন্দির মিশনের সভাপতি সুশান্ত পাল, বাংলাদেশ হিন্দু ল’ ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট নারায়ণ চন্দ্র দাস প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর
বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা
সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ভাতা পুনর্নির্ধারণ
সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ভাতা পুনর্নির্ধারণ
মানুষকে বঞ্চিত করে উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার অধিকার কারো নেই: ফয়েজ আহমদ
মানুষকে বঞ্চিত করে উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার অধিকার কারো নেই: ফয়েজ আহমদ
জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে র‌্যাবের কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে র‌্যাবের কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব
ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সহায়তায় জলবায়ু অর্থায়ন ন্যায্যভাবে বণ্টন করতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সহায়তায় জলবায়ু অর্থায়ন ন্যায্যভাবে বণ্টন করতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
রাকসু-চাকসু নির্বাচন ভালোভাবে হবে, উদ্বেগ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
রাকসু-চাকসু নির্বাচন ভালোভাবে হবে, উদ্বেগ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
২০২৬ সালের অমর একুশে বইমেলা শুরু ১৭ ডিসেম্বর
২০২৬ সালের অমর একুশে বইমেলা শুরু ১৭ ডিসেম্বর
নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র
নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা
স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা
স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা
ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড
ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড
সর্বশেষ খবর
জয়ের পরই বাবার মৃত্যুর খবর পেলেন লঙ্কান ক্রিকেটার
জয়ের পরই বাবার মৃত্যুর খবর পেলেন লঙ্কান ক্রিকেটার

৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা

২৬ মিনিট আগে | জাতীয়

বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা
বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ভাতা পুনর্নির্ধারণ
সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ভাতা পুনর্নির্ধারণ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও
রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফ্রাইলিঙ্কের রেকর্ডগড়া ফিফটিতে জিম্বাবুয়েকে হারাল নামিবিয়া
ফ্রাইলিঙ্কের রেকর্ডগড়া ফিফটিতে জিম্বাবুয়েকে হারাল নামিবিয়া

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মানুষকে বঞ্চিত করে উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার অধিকার কারো নেই: ফয়েজ আহমদ
মানুষকে বঞ্চিত করে উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার অধিকার কারো নেই: ফয়েজ আহমদ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেপালকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
নেপালকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নবীর তাণ্ডবে আফগানিস্তানের লড়াকু পুঁজি, শঙ্কায় বাংলাদেশ
নবীর তাণ্ডবে আফগানিস্তানের লড়াকু পুঁজি, শঙ্কায় বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্রামীণফোনের রিচার্জ সেবা
১৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্রামীণফোনের রিচার্জ সেবা

৩ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

শিশু নিপীড়নের অভিযোগে যুবক আটক
শিশু নিপীড়নের অভিযোগে যুবক আটক

৪ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলার
সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলার

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিকের উপাদান তৈরি বিজ্ঞানীদের
ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিকের উপাদান তৈরি বিজ্ঞানীদের

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

পিআর নিয়ে আন্দোলন নির্বাচন নস্যাতের ষড়যন্ত্র: প্রিন্স
পিআর নিয়ে আন্দোলন নির্বাচন নস্যাতের ষড়যন্ত্র: প্রিন্স

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা
চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : পুলিশ কমিশনার
সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : পুলিশ কমিশনার

৪ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র
যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে আফগানিস্তান
৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে আফগানিস্তান

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নওগাঁয় সৌহার্দ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত
নওগাঁয় সৌহার্দ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে র‌্যাবের কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে র‌্যাবের কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বরিশালে নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার
বরিশালে নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্রের ডালপালা মেলতে শুরু করেছে : নবীউল্লাহ নবী
নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্রের ডালপালা মেলতে শুরু করেছে : নবীউল্লাহ নবী

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সার সংকটে ঝিনাইদহের কৃষক, উৎপাদন খরচ বাড়ার শঙ্কা
সার সংকটে ঝিনাইদহের কৃষক, উৎপাদন খরচ বাড়ার শঙ্কা

৫ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লিবিয়ায় মাফিয়াদের গুলিতে নিহত মাদারীপুরের যুবক
লিবিয়ায় মাফিয়াদের গুলিতে নিহত মাদারীপুরের যুবক

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পটিয়ায় বাসচাপায় নারীর মৃত্যু
পটিয়ায় বাসচাপায় নারীর মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ট্রাম্পের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই: ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট
ট্রাম্পের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই: ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান: ব্যাটিং-বোলিংয়ে কে এগিয়ে?
শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান: ব্যাটিং-বোলিংয়ে কে এগিয়ে?

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা
আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা
স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?
সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ
পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল
আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ
বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ
কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক
রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প
ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান
আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য
ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ
আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য
ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাজেকের আহতরা চমেকে, রিংকির লাশ নিজ গ্রামে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে
সাজেকের আহতরা চমেকে, রিংকির লাশ নিজ গ্রামে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের
দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র
নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র
গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান
নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

১১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফেসবুকে কেউ আপনাকে ব্লক করেছে কিনা যেভাবে বুঝবেন
ফেসবুকে কেউ আপনাকে ব্লক করেছে কিনা যেভাবে বুঝবেন

১৬ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক
যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকা ফল থেকেই বিয়ারের সমান অ্যালকোহল খাচ্ছে শিম্পাঞ্জিরা: গবেষণা
পাকা ফল থেকেই বিয়ারের সমান অ্যালকোহল খাচ্ছে শিম্পাঞ্জিরা: গবেষণা

১২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

প্রিন্ট সর্বাধিক
চার মাসের কর্মসূচি নিচ্ছে বিএনপি
চার মাসের কর্মসূচি নিচ্ছে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

কুমিল্লায় মাইকিং করে মাজারে হামলা আগুন
কুমিল্লায় মাইকিং করে মাজারে হামলা আগুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভ্রান্ত বিশ্বাসীদের সঙ্গে নির্বাচনে জোট নয়
ভ্রান্ত বিশ্বাসীদের সঙ্গে নির্বাচনে জোট নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

অভিন্ন দাবিতে সাত ইসলামি দলের বিক্ষোভ সমাবেশ
অভিন্ন দাবিতে সাত ইসলামি দলের বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

দূর হোক জঞ্জাল, স্বস্তি ফিরুক
দূর হোক জঞ্জাল, স্বস্তি ফিরুক

সম্পাদকীয়

গাজা ছাড়ছে সাধারণ মানুষ
গাজা ছাড়ছে সাধারণ মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইইউ প্রতিনিধিদল সন্তুষ্ট মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে
ইইউ প্রতিনিধিদল সন্তুষ্ট মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির প্রার্থী হতে চান তিন নেতা, অন্যদের একক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান তিন নেতা, অন্যদের একক

নগর জীবন

এক যুগ পর সেই ফেলানীর ভাইকে চাকরি দিল বিজিবি
এক যুগ পর সেই ফেলানীর ভাইকে চাকরি দিল বিজিবি

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্ধারিত রুটে ১৫ শতাংশ ছাড় ঘোষণা বিমানের
নির্ধারিত রুটে ১৫ শতাংশ ছাড় ঘোষণা বিমানের

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির তিন মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্যদের একক প্রার্থী
বিএনপির তিন মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্যদের একক প্রার্থী

নগর জীবন

বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে
বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে

সম্পাদকীয়

বিলম্ব সিদ্ধান্তে অর্থনীতির ক্ষতি
বিলম্ব সিদ্ধান্তে অর্থনীতির ক্ষতি

প্রথম পৃষ্ঠা

সীমানা নিয়ে আদালতের দিকে তাকিয়ে ইসি
সীমানা নিয়ে আদালতের দিকে তাকিয়ে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে ঠিকানায় ফিরছে হকার
সিলেটে ঠিকানায় ফিরছে হকার

নগর জীবন

কবরস্থানে নবজাতক  বন্ধ হাসপাতালের কার্যক্রম
কবরস্থানে নবজাতক বন্ধ হাসপাতালের কার্যক্রম

দেশগ্রাম

ইভ্যালির রাসেল শামীমার তিন বছরের কারাদণ্ড
ইভ্যালির রাসেল শামীমার তিন বছরের কারাদণ্ড

নগর জীবন

বিএনপি রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা চায়
বিএনপি রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা চায়

নগর জীবন

জমি বিরোধে হাতুড়ি নিয়ে হামলা
জমি বিরোধে হাতুড়ি নিয়ে হামলা

দেশগ্রাম

আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী নিহত
আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী নিহত

পেছনের পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গা যুবকের কাছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা
রোহিঙ্গা যুবকের কাছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা

দেশগ্রাম

ফেব্রুয়ারিতেই ভোট
ফেব্রুয়ারিতেই ভোট

সম্পাদকীয়

সমঝোতা স্মারক সই
সমঝোতা স্মারক সই

নগর জীবন

দুবাইয়ে ১৭৮ যাত্রী নিয়ে আটকা বিমানের ফ্লাইট
দুবাইয়ে ১৭৮ যাত্রী নিয়ে আটকা বিমানের ফ্লাইট

নগর জীবন

একই সঙ্গে কোরআনে হাফেজ দুই ভাই
একই সঙ্গে কোরআনে হাফেজ দুই ভাই

নগর জীবন

এক নামে দুই কলেজ, ভর্তিতে বিভ্রান্তি
এক নামে দুই কলেজ, ভর্তিতে বিভ্রান্তি

নগর জীবন

বগুড়ায় ৭টি আসনের খসড়া ভোটার ও কেন্দ্র তালিকা সম্পন্ন
বগুড়ায় ৭টি আসনের খসড়া ভোটার ও কেন্দ্র তালিকা সম্পন্ন

নগর জীবন

দুর্ভোগ
দুর্ভোগ

নগর জীবন

সম্মেলন ঘিরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
সম্মেলন ঘিরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

দেশগ্রাম