সাংবাদিকদের জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে টার্গেট করে ব্যাংক হিসাবে তলব করে সাংবাদিকবান্ধব সরকারের সাথে গভীর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে ‘জাস্টিস ফর জার্নালিস্ট’। কোনো কারণ ছাড়াই জাতীয় প্রেসক্লাব, বিএফইউজে, ডিইউজে ও রিপোটার্স ইউনিটির নেতৃবৃন্ধদের ব্যাংক হিসাব তলব করে সামাজিক ভাবে বিতর্কে এনে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ব সাংবাদিক সমাজের সম্মানহানী ও হেয় করা হচ্ছে। অপরাধী না হয়েও সামাজিক শাস্তির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করায় এ ধরনের কর্মকান্ডের নিন্দা জানিয়েছেন ও গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মনে করছেন বক্তারা।
জাস্টিস ফর জার্নালিস্টের আয়োজনে গত ১৩, ১৪, ১৫ সেপ্টেম্বর প্রতিদিন ৩ ঘণ্টা টানা আলোচনা সভায় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নসহ সারাদেশের সাংবাদিক ইউনিয়ানের নেতৃবৃন্দ যোগ দেন। সভায় নেতৃবৃন্দরা প্রেসক্লাব সৃষ্টির ৬৩ বছরে ইতিহাসে একমাত্র নারী সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সারাদেশের সাংবাদিকদের সর্বোচ্চ সংগঠন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল, সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আব্দুল মজিদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি মুরছালীন নোমানীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দদের কোনো কারণ ছাড়া ব্যাংক হিসাব তলব করায় ক্ষোভ, দুঃখ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন।
চিহিৃত দুর্নীতিবাজ, আয়বর্হিভূত সম্পাদ অর্জনকারী রাঘব, বোয়ালদের বাদ দিয়ে সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে টার্গেট করে নেতৃবৃন্দের ব্যাংক হিসাব তলব করে তা ফলাও করে প্রচার করার ঘটনায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ এসকল ঘটনা সরকারের সাথে সাংবাদিক সমাজের দূরত্ব তৈরী করার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ মনে করছেন। নেতৃবৃন্দ এ ধরনের গভীর ষড়যন্ত্র পরিহার করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ব্যাংক হিসাব নেওয়া হলে সেটা প্রকাশ ও প্রচার করে জাতিকে যেন পরিস্কার করা হয়, অন্যথায় জাস্টিস ফর জার্নালিস্ট এর পক্ষ হতে সাংবাদিক সমাজের সম্মান রক্ষার্থে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।জাস্টিস ফর জার্নালিস্টের কো-অর্ডিনেটর ওবায়দুল হক খানের সঞ্চালনায় সারা দেশের সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা ও কুশালদী জানান বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব ও দিল্লিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিষ্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ। বক্তব্য রাখেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক ট্রেজারার দ্বিপ আজাদ ও সাবেক দপ্তর সম্পাদক বরুন ভৈমিক নয়ন, জাস্টিস ফর জার্নালিস্টের প্রতিষ্ঠাতা কো-অর্ডিনেটর ও ডিইউজের সদস্য মো. কামরুল ইসলাম ভূইয়া ও শাহিন বাবু, সাবেক ডিইউজে নেতা আকতার হোসেন, মেহেদী হাসান, শরিফ তালুকদার, সাবেক বিএফইজে নেতা পুলক ঘটক, সিনিয়র সাংবাদিক সাইদুর রহমান রিমন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি ও ডিইউজের সদস্য অভি চৈধরী, ডিইউজের সাবেক নেতা ও জয়বাংলা মঞ্চের সভাপতি জয়ন্ত আচার্য, ডিইউজের দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল সোহেল, ডিইউজের সিনিয়র সদস্য মির আফরোজ জামান, গাজীপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আতাউর রহমান, ময়মনসিংহ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মির মোস্তফা, নারায়নগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আফজাল হোসেন পন্টি, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সুধাংশু মল্লিক, খুলনা প্রেসক্লাব সদস্য শেখ সেলিম, গোপালগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুরাদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ফাত্তাহ, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কাজী শাহেদ, কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিল্পব, সহ-সভাপতি আফরোজা ডিও, ঢাকাস্থ বাগেরহাট সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাসুম তালুকদার, ডিইউজের সদস্য আনোয়ার হোসেন, জুয়েল হালদার, আব্দুল খালেক, সমিরন, সাংবাদিক অপূর্ব, ইসমাইল হোসেন টিটুসহ দেশের বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।
টানা তিন দিনের আলোচনা সভায় সম্প্রতি আফগানীস্থানসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকদের উপর নির্যাতন বন্ধ করাসহ আসন্ন বিএফইজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থী মনোনয়ন করার দাবি তোলা হয়। সেই সাথে গোপালগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নকে জাতির জনক ও প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানিয়ে বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্ত করে আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করানোর দাবি তোলা হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল