১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৮:০৮

'সরকার ভয় পায় বলেই খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে দিচ্ছে না'

নিজস্ব প্রতিবেদক

'সরকার ভয় পায় বলেই খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে দিচ্ছে না'

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

সরকার ভয় পায় বলেই বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বৃদ্ধির বিষয়টি ওপর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে রবিবার বিকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, 'বিএনপি চেয়ারপাসন তো অসুস্থ ছিলেন তখন তার পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশ যাওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু তখন যেটা সরকার দেয়নি। আমরা খুব আর্শ্চয হয়নি যে, এখনো সরকার এই কয়ে মাসের মধ্যে বিদেশ যেতে পারবেন না-এই একটা শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। মূল বিষয়টা হচ্ছে যে, তারা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এতো বেশি ভয় পান যে, তাকে কোনো মতেই তারা দেশের বাইরে যাওয়া বা মুক্ত করার বিষয়টা তারা ভাবতেই পারে না। এজন্য তার এতো অসুস্থতার পরেও তার চিকিৎসার জন্য যখন তার ডাক্তারররা বলছে, হাসপাতাল বলছে যে, তারা এডভান্স টিট্রমেন্টের জন্য তাকে এডভান্স সেন্টারে যাওয়া দরকা্র। তখন দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকার যেটাতে একমত হচ্ছে এবং মতামত দিচ্ছে না, তাকে আটকিয়ে রাখছে।'

ঢাকায় নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা ও বিদেশে যেতে পারবেন না- আগের শর্ত বলবৎ রেখেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ডের কার্যকারিতা সরকার আরও ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল রবিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

মন্ত্রী বলেন, 'খালেদা জিয়ার পরিবার মানে তার ছোট ভাই শর্ত সাপেক্ষে… সময়টা বর্ধিত করার একটি আবেদন করেছিলেন। আমরা সেই আবেদন যথাযথ প্রক্রিয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অনুমোদন দিয়েছি। তিনি (খালেদা জিয়া) নিজের বাসায় থেকে যেভাবে চিকিতসা নিতে চান, সেভাবে চিকিতসা নেবেন। তবে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। আগে যেসব শর্ত ছিলো, সেসব শর্ত বহাল থাকবে।'

দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা দুইটি মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে গত বছরের ২৫ মার্চ পরিবারের আবেদনে নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। দণ্ডের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হলে তিনি কারামুক্ত হন। এরপর গত বছরের সেপ্টেম্বরে এবং এই বছরের মার্চে আরও দুই দফায় ছয় মাস করে বাড়ানো হয় সাজার স্থগিতের মেয়াদ। এ নিয়ে মোট তিন দফায় ১৮ মাস সেই মেয়াদি বাড়ানো হলো।

৭৭ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বর্তমানে গুলশানে তার ভাড়া বাসা ফিরোজায় রয়েছেন। তিনি আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্য জনিত নানা সমস্যায় ভুগছে। গত এপ্রিল মাসে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং পরে পোস্ট কোভিড জটিলতায় বসুন্ধরার এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৫৪ দিন।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর